মোরেলগঞ্জে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারপিট, সাদা ডেমিতে স্বাক্ষর

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-২৬ - ১৫:৪৩

ডেস্ক নিউজ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারপিট ও সাদা ডেমিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালী লোকমান বয়াতীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে (২৬ অক্টোবর শনিবার) বেলা ১২ টায় নিশানবাড়িয়ার গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করেছেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের সুপারী ও কাঠ ব্যবসায়ী মো. মহিদুল তালুকদার ২০২২ সালে একই গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক হেমন্ত চন্দ্র সরকারের নিকট থেকে ৪টি সিরিজ গাছ কিনে তা বিক্রি করে দেয়। গত বুধবার সকালে তার সূত্র ধরে প্রতিবেশী ফারুক আকনের ইন্ধনে তার ভাগ্নে সন্ন্যাসী গ্রামের লোকমান বয়াতীকে দিয়ে ওই ব্যবসায়ী মহিদুল তালুকদারকে সন্ন্যাসী বাজার থেকে ধরে নিয়ে একটি কক্ষে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে মারপিট করে ও তার গোপনাঙ্গে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে হামলাকারিরা তার স্বীকারোক্তি নিয়ে ভিডিও ধারণ করে এবং গাছের বাবদ ৭২ হাজার টাকা দাবি করে সাদা ডেমিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও আরও একটি সাদা কাগজে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে এই মর্মে লিখে নিয়ে তার স্ত্রীর মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা নিয়ে মহিদুল তালুকদারকে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনার ভূক্তভোগী মহিদুল তালুকদার বাদি হয়ে লোকমান বয়াতী, ফারুক আকনের বিরুদ্ধে সেনাক্যাম্প সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয়রা।

বিক্ষোভ থেকে বৃদ্ধ মোকছেদ তালুকদার, দেলোয়ার শেখ, রিয়াজুল তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ভূক্তভোগী মহিদুল তালুকদার বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার মৃত. আব্দুল ওহেদ আকনের ছেলে ফারুক আকনের অত্যাচারে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হেমন্ত সরকারের পরিবার ২০০১ সালে ভিটেমাটি ছেড়ে বাড়িঘর ফেলে পার্শ্ববতী শরণখোলা উপজেলায় রাজেশ্বর গ্রামে বসবাস করছে। তাদের বসতভিটার জমিজমা দখল করে রেখেছে ফারুক আকন ও তার লোকজন। তারই ভাগ্নে লোকমান বয়াতীকে দিয়ে নতুন করে হয়রানি করছে।

লোকমান বয়াতী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কাউকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট করেনি। মহিদুল তালুকদার বিগতদিনে ফারুক আকনের ক্রয়কৃত গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে। তিনি নিজেই ভূল স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বৈঠক করে স্থানীয়দের কাছে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন।