যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২৮ - ১১:০৬

ইউনিক ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদায়, নানা আয়োজনে, উৎসবমুখর পরিবেশে, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারা দেশের ন্যায় খুলনা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের পাঠানো রিপোর্ট।

॥ জেলা আওয়ামী লীগ ॥

গত রোববার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ। জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারীর পরিচালনায় এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রীতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ্যাড. রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ সালাম, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামাল জামাল, সরদার আবু সালেহ, খালেদীন রশীদী সুকর্ন, জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, শ্রীমন্ত অধিকারি রাহুল, রকিবুল ইসলাম লাবু, হালিমা ইসলাম, মোল্লা মোজাফফর হোসেন, মোঃ খায়রুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, আজগর বিশ্বাস তারা, জামিল খান, মানিকুজ্জামান অশোক, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ মো: আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, হাজী সাইফুল ইসলাম খান, সরদার জাকির হোসেন, অজিত বিশ্বাস, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, ইমদাদুল ইসলাম, শ্রী জয়, শিউলি বিশ্বাস, হারুন অর রশিদ, তাপস রায়, শারমিন সুলতানা রুনা, আকাশ, মৃনাল, আরাফাত, পলাশ, লিপি, নাজমুল, শিমুল, জুয়েল সরদার, আবির, হৃদয় প্রমুখ। এর আগে রোববার সূর্যোদয়ের পরপরই ভোর সাড়ে ৬টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারির নেতৃত্বে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

॥ মহানগর ও জেলা বিএনপি ॥

রোববার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বেলা ২টায় বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে “স্বাধীনতা যুদ্ধ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১১টা ১ মিনিটে গল্লামারি স্মৃতিসৌধে যুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে গেলে পুলিশের বাধাদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, স. ম. আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, শাহিনুল ইসলাম পাখি, মুরশিদ কামাল, কে এম হুমায়ূন কবির প্রমুখ। এর আগে দিবসের শুরুতে সূর্যোদ্বয়ের সাথে-সাথে নগরী ও জেলার সকল কার্যালয়ে দলের ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

॥ খুলনা প্রেসক্লাব ॥

রোববার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। পরিচালনা করেন ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, ফারুক আহমেদ, এস এম জাহিদ হোসেন, মোঃ সাহেব আলী, মল্লিক সুধাংশু, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সুনীল কুমার দাস, মো: শাহ আলম, মোঃ আব্দুল হালিম, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, দিলীপ কুমার বর্মন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, মোঃ হুমায়ুন কবীর, আলমগীর হান্নান, দেবব্রত রায়, এস এম নূর হাসান জনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ প্রিন্স, রীতা রানী দাস, শশাংক স্বর্ণকার, মিলন হোসেন, শেখ ফেরদৌস রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে খুলনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এস এম জাহিদ হোসেন, ফারুক আহমেদ, মল্লিক সুধাংশু, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মোঃ তরিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, শেখ কামরুল আহসান, দিলীপ কুমার বর্মনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

॥ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ॥

দিবসের শুরুতেই মোংলাস্থ মবকের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মোংলা বন্দর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, অফিসার এ্যাসোসিয়েশন ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ। এর পরে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় মবক’র স্বাধীনতা চত্বরে অবসরপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংবর্ধনা প্রদান এবং ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মোংলা বন্দরের আওতাধীন বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পোর্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সুবর্নজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বন্দর হাসপাতালের রোগীদের উন্নতমানের খাবার দেয়া হয়। বন্দরের সদর দপ্তরসহ গুরূত্বপূর্ণ স্থাপনা আলোকসজ্জাকরণ এবং নৌ-যানসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিতকরণ করা হয়। মবকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে প্রীতি ভলিবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

॥ বিআইএফপিসিএল ॥

বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বিশ^শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রামপাল পাওয়ারপ্লান্ট কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত এসব কর্মসূচিতে এনটিপিসির নির্বাহী পরিচালক অতনু দত্ত, পাওয়ার প্লান্টের চীফ জেনারেল ম্যানেজার শান্তনু কুমার মিশ্র, জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) মঙ্গলা হারিন্দ্রান, জেনারেল ম্যানেজার (এইচ আর) জি এম তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে দেশ, জাতি ও বিশ^শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্তকর্তাদের সনদ প্রদান করা হয়।

॥ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ॥

খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় নগরীর গল্লামারী বধ্যভূমিতে বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিয়াজের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, মোঃ সাহেব আলী। এসময় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ বর্মন, এসএম মনিরুজ্জামান মনির, মিলন হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, সুনীল দাস, আব্দুল হালিম, নূর হাসান জনি, আল মাহমুদ প্রিন্স, ওয়াহেদ-উজ জামান বুলু, শামীম আশরাফ শেলী, দেবব্রত রায়, দিলীপ পাল, হাসানুর রহমান তানজির, রিতা রানী দাস, শশাংক স্বর্নকার, পলাশ চন্দ্র ঢালী, মনোজ কুমার দাস, শহিদুল হাসান, শামসুন্নাহার মেঘলা, রায়হান মোল্লা, আব্দুল আজিজ।

॥ খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ॥

সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে কেডিএ ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের পরপরই গল্লামারিস্থ স্মৃতিসৌধে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণে অংশগ্রহণ করেন কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ, সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, পরিচালক (এস্টেট)সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। বাদ যোহর কেডিএ জামে মসজিদে সকল শাহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। কেডিএ এভিনিউ পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। রাতে অফিস ভবন ও কেডিএ নিউ মার্কেট আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয় ।

॥ খুবি ॥

রোববার সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন কর্র্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় শোভাযাত্রা সহকারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, ডিসিপ্লিনসমূহ, আবাসিক হলসমূহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে প্রার্থনা এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও প্রশাসন ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হলসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

॥ কুয়েট ॥

রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য “দূর্বার বাংলা” এর পাদদেশে জাতীয় সংগীতের সাথে-সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। অতঃপর, শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), অফিসার্স এসোসিয়েশন, ফজলুল হক হল, লালন শাহ্্ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), কর্মচারী সমিতি ও মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উদ্্যাপন উপলক্ষে সকাল সোয়া ১০টায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম। প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মোঃ হেলাল-আন-নাহিয়ান, প্রফেসর ড. শেখ মোঃ রবিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সারোয়ার, প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, প্রকৌশলী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, প্রকৌশলী মোঃ মাহমুদুল হাসান, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অংকন বড়াল, এস. এম. সাজ্জাদ, মোঃ মুরাদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন মনোজ কুমার মজুমদার। এছাড়াও, রোববার সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় শিশু-কিশোারদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ১০টায় পুরস্কার বিতরণ এবং আসর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।

॥ শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ॥

সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ডা. মো. কুতুব উদ্দীন মল্লিক, ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ এবং মো. আব্দুর রউফসহ বিশ^বিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

॥ নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ॥

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাম কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ ইনজামাম উল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ নওশের আলী মোড়ল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. মোঃ রউফ বিশ^াস, রেজিস্ট্রার মুহম্মদ শরিফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, সহকারি প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন মিনা অছিকুর রহমান দোলন। দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ আব্দুল মুমীন নোমানী।

॥ খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসা ॥

রোববার বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরসার প্রধান মুফাসসির মাওলানা মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তৃতা করেন মুফতি মাওলানা ড. মোঃ আব্দুর রহিম সরদার, আদিব মাওলানা ড. মোঃ রবিউল ইসলাম, মুহাদ্দিস মাওলানা মোহাম্মাদ শমশের আলী শেখ, মুফাসসির মাওলানা মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, বাংলা প্রভাষক মোঃ আতাউর রহমান ও আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ সাইফুল ইসলাম। কুরআন তেলায়াত, বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষর্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ আসাদুজ্জামান।

॥ মহানগর ও জেলা শ্রমিক লীগ ॥

রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় গোলকমনি শিশু পার্কে আলোচনা সভা ও সভা পরবর্তীতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে ভোর ৬টায় গল্লাামারী স্মৃতীসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাক উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান। এবং সকাল ৯টায় মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বি এম জাফর। সভাপতিত্ব করেন মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া। পরিচালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ পীর আলী। সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মল্লিক নওশের আলী, মোঃ বাবুল হোসেন, মাছুমা আক্তার রানী, কাজী আব্দুর ওহাব, মোঃ আব্দুর রহিম খান, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ আঃ রশিদ সিকদার, কিংকর সাহা, শরীফ মোত্তর্জা আলী, মোঃ মতিউর রহমান, শেখ মঈনুল ইসলাম মোহন, মোঃ তাইজুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর মল্লিক, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শরিফুল, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ আজিম উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

॥ মহানগর ইসলামী আন্দোলন ॥

রোববার দুপুর ২টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগরের উদ্যোগে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ আই.এ.বি মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হুসাইনের পরিচালনায় মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের নগর সহ সভাপতি মুফতি আমানউল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মোঃ আবু গালিব, মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওলানা আব্বাস আমীন, মোঃ হুমায়ুন কবির, আবুল কাশেম, মোঃ নিজাম উদ্দিন মল্লিক প্রমুখ।

॥ মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ ॥

গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ সময় মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, অধ্যাপক ডাঃ বঙ্গকমল বসু, প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, অধ্যাপক ড. রাফিজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ, প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, প্রভাষক ধীমান অধিকারী, ডাঃ বিষ্ণুপদ দেবনাথ, ডাঃ দীপংকর নাগ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, প্রতাপ কুমার বিশ্বাস, ডাঃ নিরুপম মন্ডল, প্রফেসর মামুনুল আবেদিন, প্রকৌশলী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান রানা, আজহারুল ইসলাম খান, গৌতম ঘোষ, স্বপন বিশ্বাস, শুভেন্দু সরকার শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

॥ রূপান্তর ॥

স্বাধীনতা দিবসের সকালে গল্লামারী বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপরে নগরীর শিরিশনগরস্থ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ স্বাধীনতা বিরোধীদের অপতৎপরতা রুখতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা পালনের জন্য সচেতন মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রূপান্তর থিয়েটারের অপারেশনাল সমন্বয়কারী আখতারুন্নেছা নিশার সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন শিক্ষাবি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনা রাজীব আহমেদ, অসীম আনন্দ দাস ও মোঃ আঃ হালিম। পরে রূপান্তর থিয়েটারের শিল্পীবৃন্দ ছাড়াও শিশুশিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

॥ স্বাচিপ ॥

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় “গল্লামারী বধ্যভুমি” স্মৃতি সৌধে সকাল সাড়ে ৮টায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি ডা. এস. এম. সামছুল আহসান মাসুম, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: মেহেদী নেওয়াজ, ডা. মোল্লা হারুন অর রশিদ, ডা. মো: সালাহউদ্দিন রহমতুল্ল্যা, ডা. সুমন রায়, ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী, ডা. বিষ্ণু পদ সাহা, ডা. মো: ইউনুস-উজ-জামান খাঁন তারিম, ডা. এস. এম. তুষার আলম, ডা. মো: জিল্লুর রহমান তরুন, ডা. এস. এম. মাহমুদুর রহমান রিজভী, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ^াস, ডা. অনল রায়, ডা. কাজী করিম নেওয়াজ, ডা. সুদীপ পাল, ডা. আনোয়ারুল আজাদ, ডা. এস. এম. দিদারুল আলম, অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহসীন, ডা. গোলাম সারোয়ার ফারুকসহ প্রমুখ।

॥ ফুলতলা ॥

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সকাল ৯টায় স্বাধীনতার স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, উপজেলার ডাবুর মাঠ প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট, কুঁচকাওয়াজ প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় উপজেলার শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে স্বাধীনতার সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সংর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইলিয়াস তালুকদার, কাজী জাফর উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হোসেন আশু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে.এম জিয়া হাসান তুহিন ও ফারজানা ফেরদৌস নিশা, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া শিপলু, রাজিয়া সুলতানা, ফারহানা ইয়াসমিন, মোঃ শাহীন আলম প্রমুখ। অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস মৃনাল হাজরা, আবু তাহের রিপন, কামরুজ্জামান নান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান কে.এম জিয়া হাসান তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া শিপলু, ইসমাইল হোসেন বাবলু, আলী আজম মোহন, এস রবিন বসু, শহীদুল্লাহ প্রিন্স প্রমুখ।

॥ ডুমুরিয়া ॥

দিবসটি পালন উপলক্ষে রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, প্রেসক্লাব, থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যানারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের আয়োজনে নবাগত সাব-রেজিষ্ট্রার অঞ্জু দাসের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, নিরাপদ সড়ক চাই, ডুমুরিয়া কলেজ, শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজ, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ডুমুরিয়া এনজিসি এন্ড এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালন করেছেন। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে ডুমুরিয়া কলেজ মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে সম্বর্ধনা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান এর সভাপতিত্বে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহীন খসরু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, সাংবাদিক এসএম জাহাঙ্গীর আলম, ওসি সেখ কনি মিয়াসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ। শেষে ডিসপ্লে ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা   হয়। অপরদিকে স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে নাজিবুর রহমান নাজুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দার, আবু সাঈদ সরদার, খান আবু বক্কার, সরদার আঃ গণি, জিএম ফারুক হোসেন, গোবিন্দ ঘোষ, খান আবুল বাশার প্রমুখ। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শেখ সরোয়ার হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, সরদার আঃ মালেক, শেখ দিদারুল হোসেন দিদার, শেখ শাহিনুর রহমান, অরুণ কান্তি গোলদার, শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন, শেখ ফরহাদ হোসেন,আমিনুর রহমান মোড়ল, হাবিবুর রহমান হবি,যুবদল নেতা মোল্যা মশিউর রহমান,  আঃ আঃ রব আকুঞ্জি, মাষ্টার আয়ূব আহমেদ, পারভেজ গাজী প্রমুখ।

॥ রূপসা ॥

রূপসা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল রোববার দুপুরে ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভয় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সাবেক  সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম তোতা, খান মিজানুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ডালিম, আল মাহমুদ প্রিন্স, খান আব্দুল জব্বার শিবলী, হামিদুল হক, হোসাইন আহমেদ, এম এ আজিম, আব্দুল কাদের, আবু হারুনার রশিদ, গোলাম মোস্তফা, বেনজীর হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন মানিক, শহিদুল ইসলাম ও হাসানুজ্জামান মনি। এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে রূপসা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ রূপসা উপজেলা বিজয় মঞ্চে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা, ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান, সরদার মোর্শারফ হোসেন, ক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, তৌহিদুল ইসলাম কচি, আব্দুল কাদের ও চিত্ত রঞ্জন সেনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রোববার সকালে কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা  কাজী ইয়াহিয়া, বজলুর রশীদ আজাদ, সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস, মোঃ ফরিদুজ্জামান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন প্রদীপ কুমার মজুমদার, বাপী কুমার দাশ, আইরিন পারভীন, ফরহা দিবা শামস, তারেক ইকবাল আজিজ, প্রশান্ত কুমার ব্যনার্জী, রেজাউল করিম, জেসিয়া জামান, মনোয়ারা খানম, গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সন্তোষ কুমার চিন্তাপাত্র, আঃ মালেক শেখ, শহিদ জমাদ্দার, মোঃ রবিউল ইসলাম, শেখ তৈয়েবুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, খালিদ হাসান, সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেন প্রমুখ।

॥ তেরখাদা ॥

উপজেলায় দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক-পৃথক কর্মসূচি পালন করে। ওই দিন প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের সূচনাসহ সকল সরকারি বে-সরকারি, আধা সরকারি ভবন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়। সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পরে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও শরীরচর্চা প্রর্দশনী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জুম কনফারেন্সিং-এ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম, ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ শারাফাত হোসেন মুক্তি, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান নাজমা খান, মোঃ জহুরুল আলম। বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী আবুল খায়ের, এফ এম অহিদুজ্জামান, কে এম আলমগীর হোসেন, এম কে শাহমিরাজ কায়নাত। সঞ্চালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বোরহান উদ্দিন আহমেদ।

॥ পাইকগাছা ॥

দিবসটি উপলক্ষে রোববার প্রত্যুষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, সংসদ সদস্যের পক্ষে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা, থানা, লোনাপানি কেন্দ্র, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাইকগাছা সরকারি কলেজ, ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজ, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আইনজীবী সমিতি, পাইকগাছা প্রেসক্লাব, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, বনানী সংঘ, শিবসা সাহিত্য অঙ্গন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা, নিরাপদ সড়ক চাই, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ, সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি, আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, রোজ বাড কিন্ডার গার্টেন স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে  সকাল ৮টায় পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন মুুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, রোভার স্কাউটস ও গালর্স গাইড। সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী ও শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, ড. মোঃ লতিফুল ইসলাম, ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার, এসএম সাইফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, শেখ কামরুল হাসান টিপু, মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ দে, খালেকুজ্জামান, মিলি জিয়াসমিন, রমেন্দ্রনাথ সরকার ও আজাহারুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, ময়নুল ইসলাম ও প্রভাষক রেবা আক্তার কুসুম।

॥ কপিলমুনি ॥

দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টায় কপিলমুনি সম্মিলিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে কপিলমুনি কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কপিলমুনি কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্ল্যাহ বাহারের সভাপত্বিতে ও শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, সহকারী অধ্যাপক শফিউল আলম ও প্রভাষক ময়েজুর রহমানের পরিচালনায় অতিথি ছিলেন কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, আফসার আলী, হারুন আর রশিদ, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, ত্রিদিব কান্তি মন্ডল, জয়নাল আবেদীন, জি এম হেদায়েত আলী টুকু, জাহাঙ্গীর হোসেন, রহিমা আক্তার শম্পা, সঞ্জয় কুমার মন্ডল, নির্মল কান্তি মজুমদার, সাধন ভদ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার ফারুক আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, বিধান ভদ্র, সরদার মুজিবর রহমান, রেজাউল করিম, হিমাদ্রী শেখর দে, জি এম নুরুজ্জামান, রাম প্রসাদ পাল, হাসানুজ্জামান, পলাশ কুমার দাশ ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ। এছাড়াও কপিলমুনি কলেজ, সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরুন্নেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিনোদ বিহারী শিশু বিদ্যালয়, কপিলমুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, নিরবতা পালন ও জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। উক্ত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঅন্তে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

॥ মোল্লাহাট ॥

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩১ বার তোপধ্বনি, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সমস্বরে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিশু কিশোর সমাবেশ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, দোয়া ও প্রার্থনা এবং হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুল আলম ছানা। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা ও রুবিয়া বেগম। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্যদেন কালিপদ বিশ্বাস, এমডি আল আমিন, সোমেন দাশ, ডাঃ মোছাঃ মাহফুজা খাতুন, অনিমেষ বালা, মোঃ আব্দুস সালাম, ডাঃ মোঃ আশাদুজ্জামান শুভ, ডাঃ নাহিদুল ইসলাম, মোঃ শওকাত হোসেন, মোঃ মফিজুর রহমান, শিকদার আতিকুর রহমান জুয়েল, ইসহাক, ওসমান হামিদ, মোঃ মফিজুর রহমান, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস, এল জাকির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সাইকুল আলম, মনোরঞ্জন পাল, শিকদার উজির আলী, মিজানুর রহমান মোল্লা, শেখ রেজাউল কবির, শেখ রফিকুল ইসলাম ও মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া, তাজউদ্দিন আহম্মেদ পিকিং, মুন্সি তানজিল হোসেন, রেজওয়ান চৌধুরীসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যাংক ও এনজিও কর্মকর্তা, শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী মোহন।

॥ তালা ॥

২৬ মার্চ প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। পরে তালা বি দে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ, শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল কুদ্দুস। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশীদা পারভীন পাঁপড়ী, চৌধুরী রেজাউল করিম, কাঞ্চন কুমার রায়, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম ফজুলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুর রশিদ, ডাঃ রাজীব সরদার, সুমনা শারমিন, সেখ শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মীর জিল্লুর রহমান, শেখ জাহিদুর রহমান লিটু প্রমুখ। দিবসটি উপলক্ষে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়া তালায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে যুব সংগঠন গ্রীন ম্যান। রোববার ৮৮নং মাঝিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রতিযোগিতায় বিদ্যলয়টির তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছে আল ইকরাম মোড়ল, দ্বিতীয় হয়েছে মেহবুবা ও তৃতীয় হয়েছে নম্রতা পাল এবং চিত্রাংকন প্রযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে আল ইকরাম মোড়ল। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রত্না রাণী পাল ও শিক্ষকমণ্ডলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ম্যানের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান রাব্বি, সিনিয়র সদস্য সুজয় চক্রবর্তী, কাজী মুজাদ্দিদ, নিশাত শাহিন নোভা, সাবিহা সুলতানা রত্না, শ্রাবন্তী সুলতানা ঐশী, মোনালিসা মিরা প্রমুখ। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গ্রীন ম্যানের একটি প্রতিনিধি দল।

॥ দেবহাটা ॥

দেবহাটায় আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ¦লন, দোয়া অনুষ্ঠান, নিরবতা পালন ও ব্লাক আউটসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলী। এসময় ডা. আব্দুল লতিফ, শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, অধীর কুমার গাইন, জুয়েল হোসেন, আলী মোর্ত্তোজা, মো. আনোয়ারুল হক, নাসরিন জাহান, জয়া রানী রায়, মৌসুমী পারভীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান, নিরবতা পালন সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ¦লন ও রাতে ব্লাক আউট কর্মসূচি পালিত হয়।

॥ পাটকেলঘাটা ॥

পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ ডিগ্রী কলেজে আলোচনা সভা, র‌্যালি, ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সূর্যোদ্বয়ের সাথে-সাথে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ বেদিতে শহিদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পন, বঙ্গবন্ধুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান এরপর বেলা ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল গফফারের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মো: নাজমুল হকের পরিচালনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস পটভূমী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আতাউর রহমান, আনন্দ মোহন মন্ডল, বিপ্লব ভদ্র, এস. এম. আব্দুল গফুর, মো: আতিয়ার রহমান প্রমুখ। অনুরুপভাবে পাটকেলঘাটা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমিরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমিরা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাটকেলঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান, সরুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের অংগসংগঠন, জাসদ, পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করেন। অপরদিকে পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সূর্যোদ্বয়ের সাথে-সাথে পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তার মোড় সংলগ্ন মহাসিন মার্কেটের ২য় তলায় পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে বিকাল ৪টায় এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ জহরুল হকের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জামান মনির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইন্দ্রজিৎ সাধু, গাজী রোকোনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো: আব্দুল মতিন, মো: নাজমুল হক, রিপন হোসাইন, খায়রুল আলম সবুজ, নাজমুল হাসান মিঠু। এছাড়া ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহফুজুর রহমান মধু, সৈয়দ আঃ সালাম পান্না, নব কুমার দে, মো: আল মামুন, শাহীন হোসেন প্রমুখ।

॥ যশোর ॥

যশোরে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। রোববার ভোর ৬টায় শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয় স্তম্ভে ফুল দেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেনি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া প্রেসক্লাব যশোরসহ সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সকাল ৮টায় যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজএ এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর নিজ নির্বাচনী এলাকার দুই লাখের বেশি ভোটারকে মোবাইল ফোনে ভয়েস কল পাঠিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম। রোববার দেশের সাধারণ জনগণদের মোবাইলে ভয়েস কলের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার এক বার্তায় এ তথ্য জানান মোস্তফা আশীষ ইসলাম।

॥ চৌগাছা ॥

রোববার সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে সরকারি ও বেসরকারি জাতীয় পতাকা উত্তোল। এদিনের প্রথম প্রহরে উপজেলার শহীদ মশিউর নগর স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর পর্যায়ক্রমে শহরের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চৌগাছা থানা, পৌরসভা, প্রেসক্লাব, স্কুল কলেজসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দিবসটি পালনের লক্ষে এদিন সকাল ৯টায় চৌগাছা সরকারী শাহাদাত পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি,স্কাউটস, ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ বৈশাখী মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয়, গুঞ্জন বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম সবুজ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান হামিদ মল্লিক, মুছাব্বির হুসাইন, মেহেদী হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন, মোস্তাফিজ রহৃান, ফেরদৌসী খাতুন, সুভাষচন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ।

॥ অভয়নগর ॥

দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা আয়োজন করে। উপজেলা প্রশাসন সূর্যদয়ের সাথে-সাথে ৩১ বার তোপরধ্বনি মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করে। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশুকিশোরদের কুচকাওজ প্রদর্শণ, বিভিন্ন সংগঠনের সাথে প্রীতি খেলাধূলা, পুরষ্কার বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সকাল ১০টায় স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেন করে। পরে স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে দাঁড়িয়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার অলিয়ার রহমান, শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, আব্দুর রউফ মোল্যা, সুশান্ত কুমার দাস শান্ত, মিনারা পারভীন, লায়লা খাতুন প্রমুখ। এছাড়া অন্যন্য রাজনৈতিক দলের নের্তৃবৃন্দ অনুরুপ কর্মসূচি পালন করে। অপরাজেয় সামাজিক পরিষদের আয়োজনে উপজেলার ধোপাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়া উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।