ইউনিক ডেস্ক : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন মো: সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল।
৩০ জুন (রবিবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একই সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে ছাত্রলীগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই এর মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
গত দুই বছরে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতনের কমপক্ষে পাঁচটি অভিযোগ ওঠে। তবে বিভিন্ন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করলেও পরে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সর্বশেষ চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ ও আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ৯ জনের পাশাপাশি বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকা আরও ৪ জনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাও রয়েছেন। তার ছাত্রত্ব না থাকায় তাকে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সোহেল রানাকে সভাপতি ও তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ছাত্রলীগের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে। তবে গত ২৩ মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তাঁরা। এছাড়া বিলুপ্ত এ কমিটির বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষক লাঞ্চিত , সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরির জন্য পরীক্ষা দিতে আসা অনেককে নির্যাতনের অভিযোগ। প্রতিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকেরাও তাঁদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।