যশোরের পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র অপহরণ মামলায় আটক ৩

প্রকাশঃ ২০২৩-০৪-০১ - ১১:১৬

যশোর অফিস : যশোরে পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী রিহাদুল ইসলাম রাব্বিকে মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণের ঘটনায় তিনজন দুর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। তাকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের সামনে থেকে অপহরণের পর রাতে ঘুরুলিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক তিনজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো, শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়ার সুলতান হোসেনের ছেলে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী সম্রাট খান, ও তার দুই সহযোগী হচ্ছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ব্যাগারিতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাসান আলী ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাঝদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার নান্নুর ছেলে মেহেদী হাসান।

এই মামলার পলাতক আসামি হলো, শহরের বারান্দীপাড়ার ইমান আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের ফজলুল করীমের ছেলে মেহেদী হাসান।

বাদী রিহাদুল ইসলাম রাব্বি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সরালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি যশোর পলিটেকনিক কলেজে পাওয়ার টেকনোলজি বিভাগে প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করেন। পাশাপাশি উপশহরের কাজী ভবনের মেসে থাকেন। প্রতিদিনের মত গত ৩০ মার্চ দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বের হয়ে মেসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শিক্ষা বোর্ডের সামনে পৌছানো মাত্র আসামিরা অটো রিক্সায় এসে তার পথরোধ করে। এসময় তাকে অপহরণ করে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে রিহাদের পিতার মোবাইলে রিং করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। রাজি না হওয়ায় তার গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এরপর তার পকেটে থাকা দুই হাজার একশ’ টাকা চাঁদা স্বরূপ নিয়ে নেয়। পরে জীবন বাঁচাতে রিহাদ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে কুখ্যাত সম্রাট, হাসান আলী ও মেহেদী হাসানকে স্থানীয়রা আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু আরেক মেহেদী হাসান পালিয়ে চলে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই হুমায়ুন আহমদ জানিয়েছেন, আটক তিনজনকে গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পলাতক মেহেদী হসানকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।