রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরের সাবেক স্পেশাল জজ আদালতে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের বেজপড়ার মৃত মাদার চন্দ্র বৈরাগীর ছেলে আইনজীবী সহকারী নির্মল কান্তি বৈরাগী এ অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মো.আমিনুল ইসলাম আগামী ২৮ নভেম্বর অভিযোগ গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহামুদ হাসান বুলু।
এদিকে আদালতে এ অভিযোগ দেয়া হলে ঘুষ প্রদানকারী ও নেপথ্যে কারা আছে তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান আইনজীবীরা। এ নিয়ে কিছুটা হই-হট্টগোল শুরু হয় আদালতের ভিতর বলে জানিয়েছেন উপস্থিত অনেকে।
নির্মল কান্তি বৈরাগী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি যশোরে আইনজীবী সহকারী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা দেওয়ানি আদালতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার সাথে পরিচয়। তিনি দীর্ঘদিন পরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক হয়ে আবার যশোর ফিরে আসেন। তিনি তাকে ডেকে মামলার ব্যাপারে যোগাযোগ করলে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে বলে জানান। এরপর তিনি এসসি ৮৭/৯৮ মামলার তদবিরকারক ও আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করেন। এ মামলায় প্রত্যাশিত ফল পেতে তিনি তাদের সাথে ১০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। এ টাকা তিনি দুই দফায় বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহাকে দেন। তিনি এ টাকা নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। বাকি ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় এ মামলার রায়ে বিচারক আসামিদের যাবজ্জীবন সাজা দেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ অভিযোগ দিয়েছেন।
স্পেশাল জজ আদালত সূত্রে জানা গেছে, যশোরের স্পেশাল জজ আদালতে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সম্প্রতি পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে বদলি হয়েছেন।