যশোর অফিস : কয়েকবছর ধরেই লক্ষ্যমাত্রার সমপরিমাণ আউশ ধান উৎপাদন হচ্ছে যশোরে। মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলনও ভালো বলছেন চাষিরা। জেলার বেশিরভাগ এলাকায় এখন চলছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াই। বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক।
যশোরের মনিরামপুর, বাঘারপাড়া, শার্শা ও অভয়নগর উপজেলার এখন পাকা ধানের ম-ম গন্ধ। তাই মাঠেও ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের।
যশোর সদর উপজেলার কৃষক বশিরুল ইসলাম। ১২ কাঠা জমিতে এবারে আউশ ধানের চাষ করেছেন তিনি। যাতে কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এবারে ফলন ভাল হওয়ায় সেই ফসল ২০ হাজার টাকার বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী তিনি। আউশ ধান চাষি বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমি যদি ধান, বিচলী এগুলো বিক্রি করি তাহলে আমার বিশ হাজার মতো টাকা হবে। তা লাভজনক।’
এবার বিআর-২৬, ব্রি-২৮, ৪৮, ৫০, স্বর্ণ, শুভলতা, গণতারা, জিএস ওয়ান, জামাইবাবুসহ বিভিন্ন ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন ভাল হওয়ার পাশাপাশি পোকামাকড় কম থাকায় কীটনাশক বাবদ খরচ কিছুটা কমেছে।
চাষিরা বলছেন, আউশ চাষের খরচ বোরো ধান চাষের চেয়ে অনেক কম। অন্যদিকে ধান চাষ শেষ করে একই জমিতে সবজি চাষ করতে পারায় বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলছেন চাষিরা।
চাঁচড়া এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি ধান করেছি সাড়ে ৪ বিঘা। ‘রড মিনিকেট আর ৭৫’ খরচ হয়েছে ৩০ হাজার। ধান হবে প্রায় ৬০ মণ।
কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এবছর ১৫ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ হয়। যার সম্পূর্ণ জমিতে আবাদ হয় ধান। যেখান থেকে উৎপাদন হয় ৪৫ হাজার টন ধান। যাতে বাণিজ্য হবে অন্তত ২শ’ কোটি টাকা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপপরিচালক প্রতাপ মন্ডল বলেন, ‘আউশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রত্যেককে আমরা প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করেছি। সেচ পাম্পকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’ গেল বছর এজেলায় ১৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপদান হয় ৪০ হাজার টন আউশ ধান। যাতে বাণিজ্য হয় ১শ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।