রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোর সদর উপজেলার জলেশ্বর ও গোলাডাঙ্গা বিলের মধ্যে খালের পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় দেড় হাজার বিঘা নিচু জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী মহল বাঁশের পাটা দিয়ে মাছ চাষের ব্যবসা করায় কৃষকরা ক্ষতির সমুক্ষিন হয়েছে। অবিলম্বে পাটা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসী প্রেসক্লাব যশোরে এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মালিয়াট গ্রামের এমরান হোসেন। তিনি বলেন, যশোর সদর উপজেলার জলেশ্বর ও গোলাডাঙ্গা বিলে ১৫/২০ হাজার একর আবাদী জমি রয়েছে। এই দুটি বিলের পানি দাইতলা এলাকার খাল দিয়ে নিষ্কাশন হয়। বিলে হাজার হাজার কৃষক চাষাবাদ করে। কিন্তু সম্প্রতি ভারিবর্ষণে বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো- খালে অবৈধভাবে পাটা (বেড়া) দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে খালের পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। পানি ধীরে ধীরে প্রবাহিত হওয়ায় জলাবদ্ধ বিলের ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত ২২ অক্টোবর এলাকার কৃষকরা খালের পাটা ও পলিথিন অপসারণ করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বাগডাঙ্গা গ্রামের ফটিক, শালিয়াট গ্রামের খলিল, তালবাড়িয়া গ্রামের ওলিয়ার ও মোস্তফা, রাজাপুরের আফসার ও রউফ, চানপাড়ার লুৎফরসহ আরও ১০/১২জন কৃষকদের মারপিট করে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিলের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় ইতোমধ্যে এক’শ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আরও কিছুদিন জলাবদ্ধতা থাকলে বাকী ধানও নষ্ট হয়ে যাবে। কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, বিলের জলাবদ্ধতায় ত্রিশ বিঘা ধান পানিতে ডুবে গেছে। শিগগির পানি নিস্কাশন না হলে, সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
অপর কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, বিলের পানি নিষ্কাশনের খালে পাটা দিয়ে মাছ চাষ করায় আমাদের আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাটা উচ্ছেদ করলে আবার মারপিটের শিকার হতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০টি পাটা কৃষকরা উচ্ছেদ করলেও এখন ২০/৩০টি পাটা রয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলেও আমরা পথে বসে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শাহীন কবির, সাইফুল হোসেন, রাসেল হোসেন, রবিউল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আমিনুর রহমান প্রমুখ।