যশোরে পুলিশ পরিচয়ে দুই যুবক আটক করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০৪ - ২০:৫৮

যশোর অফিস : পুলিশ পরিচয়ে সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে দু’ যুবককে ধরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকা বাসী অভিযোগে জানান,শনিবার দিবাগত গভীর রাত আনুমানিক ১২ টায় দু’টি মোটর সাইকেল যোগে তিনজন ব্যক্তি সদর উপজেলার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে যায়। তারা বাড়ির সামনে অবস্থানকালে ওই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোবাইল মিস্ত্রি আবু বক্কারকে গ্রেফতার করে। পরে তার পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের কাছে থাকা হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। পরে তারা ওই গ্রামের জেহের বিশ্বাসের ছেলে গ্রীল শ্রমিক মনিরুল ইসলামের নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে মনিরুল ইসলাম তাদের কাছে আসা মাত্রই তাকে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক হিসেবে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। পরে তাদেরকে কোতয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে। এক পর্যায় মোবাইল মিস্ত্রী আবু বক্কারের পরিবারের লোকজন ওই রাতে অতি কষ্টের মাধ্য জোগাড় করে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়। তবে গ্রীল শ্রমিক মনিরুল ইসলামকে  কি পরিমান অর্থের বিনিময়ে ছাড়া হয়েছে সে ব্যাপারে উক্ত পরিবারের কেউ মুখ খোলেনি। শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে কারা প্রবেশ করেছে তাদের ব্যাপারে থানায় কর্মরত কেউ কিছু জানেন না। গ্রামবাসী জানিয়েছেন,দুই মোটর সাইকেল যোগে ৩জন যাদের কাছে ওয়ারলেস সেট,হ্যান্ডকাপ ও অস্ত্রছিল তবে তাদের পরনে পুলিশের পোশাক ছিলনা। তারা থানা,ফাঁড়ি কিংবা পুলিশের কোন  সংস্থায় আছে কিনা তাদের আচারণ দেখে গ্রাম বাসীর মনে হয়নি। তাছাড়া এধরনের ঘটনা প্রায় প্রতিরাতে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পোশাক ছাড়া পুলিশ পরিচয় বিরোধীদলের নেতাকর্মী,সমর্থক অভিযোগ তুলে এবং তল্লাশী নামে পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের। পরে তাদেরকে থানায় না এনে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে । এক পর্যায় দর কষাকষি করে একটি চুক্তিতে পৌছে ছেড়ে দিয়ে আসছে। সূত্রগুলো বলেছে,কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এ ধরনের কর্মকান্ড প্রশয় দেন না। ইদানিং এ ধরনের কর্মকান্ড আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে যশোরের এক পুলিশ কর্তার কাছে এ ধরনের কর্মকান্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশ না  করার শর্তে জানান এ ধরনের কর্মকান্ড প্রকৃত পুলিশের জন্য নয়। যারা পুলিশের নামে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।