রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরে পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের দুর্ঘটনায় এবং অপরজনের রহস্যজনক। নিহতরা হলো, যশোর সদর উপজেলার সমসপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৭) এবং মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের প্রবাসী রাশেদ হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন (২৪)।
হৃদয় গত শনিবার মটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিজ বাড়ির সামনে পড়ে গিয়ে আহত হয়। তাকে পরিবারের লোকজন চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রাখে। সোমবার সকালে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পরিবারের লোকজন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। চিকিৎসার কিছু সময় পর সার্জারী বিভাগে ডাক্তার অহেদুজ্জামান আজাদ তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
অপরদিকে নিহত রহিমা খাতুনের চাচা শশুর জামান উদ্দীন বলেন, চালুহাটি গ্রামের ছবেদ আলীর মেয়ে রহিমা খাতুনের একই এলাকার করিম ফকিরের ছেলে মালায়শিয়া প্রবাসী রাশেদ হোসেনের সাথে গত ৪বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের একটি সন্তান আছে। রহিমার পিতার বাড়ি থেকে বাইসাইকেল দেয়া নেয়া নিয়ে উভয় পারিবারিক কলহের জের ধরে রোববার সন্ধারাতে স্বামির বাড়িতে রহিমা কিনাশক পান করে।পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে সে মারা যান।কেশবপুর থানা পুলিশের এসআই আব্দুল হালিম লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে যশোর শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে রহিমার চাচা আবুল হাশেম জানিয়েছেন, ‘রহিমা কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। পরাকীয়া প্রেমের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে আমি জানতে পারেছি’। পরাকীয়া প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করেছে কি না সে ব্যাপারে কোন উত্তর দেয়নি প্রবাসীর দুলাভাই একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মিজানুর রহমান।