যশোরে বাসের নিচে ঝাপ দিয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-২১ - ২০:৫৫

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর :  রিমা খাতুন নামে এক প্রেমিকাকে ধাক্কা দিয়ে বাসে সামনে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যশোর মাগুরা রোডে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কথিত ওই

 প্রেমিক পুলিশ সদস্য পালিয়েছে বলে রিমার পরিবার অভিযোগ করেছে। রিমা যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। সে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বিএ (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

কেরামত আলী জানান, মোবাইলের মাধ্যমে চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের আয়ুব সর্দারের ছেলে পুলিশ সদস্য রাব্বির সাথে রিমার পরিচয় হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে রিমা তার সাথে দেখা করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। বিকাল ৩টার দিকে আজ বাড়িতে আসবে না বলে মোবাইলে তার মাকে জানিয়ে দেয়।

বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে রিমার লাশ দেখতে পাই। আমি জানতে পেরেছি-জেস গার্ডেন থেকে বের হয়ে মটরসাইকেল যোগে রিমা ও রাব্বি শহরের দিকে আসছিল। পথিমধ্যে যশোর মাগুরা সড়কের ‘বাহাদুরপুর রোডে পৌছুলে রাব্বি তাকে ধাক্কা দিয়ে পরিবহনের সামনে ফেলে দেয়। পরিবহনের সাথে ধাক্কা লেগে সে ছিটকে পড়ে। তাতে তার মাথায় গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।’

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার কাল্্োল কুমার সাহা বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে মৃত্যু ঘোষণা করে বলেন, হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বাসের ধাক্কায় তার মাথা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রিমা ও রাব্বি বিকালে যশোর সদর উপজেলার  বাহাদুরপুর জেস গার্ডেনে বেড়াতে যায়।  সেখান থেকে রাব্বির মটরসাইকেলে ফেরার পথে রিমা গাড়ির সামনে ঝাপ দেয়। এসময় পরিবহনের সাথে ধাক্কা খেয়ে সে ছিটকে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

এব্যাপারে কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার মিয়া বলেন, ‘শুনেছি একটি বাস মাগুরার দিকে থেকে আসছিল। বাহাদুরপুর স্কুলের সামনে বাসটি একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। সে সময় রিমা নামে একটি মেয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।’

মোটরসাইকেলটির মালিক রিমার কথিত প্রেমিক রাব্বি পুলিশ সদস্য কি-না তা জানা নেই বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বাশার।