রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা গেছেন জেলা বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জিয়াউল ইসলাম ডন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি যশোর শহরের বেজপাড়ার মৃত কাদের মিয়ার ছেলে। তিনি মা, এক ভাই, দুই মেয়ে, এক ছেলে এবং স্ত্রীসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
ভাই আশরাফুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘শনিবার এশার আজানের সময় ডন তার জেস টাওয়ারের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় হঠাৎ তার রক্তচাপ বেড়ে যায়। আশপাশের দোকানিদের সহযোগিতায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের সিনিয়র নার্স জেসমিন ডাক্তার রাশেদ রেজার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে ডনকে রাত আটটা দশ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে আটটায় তার মৃত্যু হয়।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বললেন, ‘‘ডন অন্য সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মতো ছিলেন না। তার বিশ্বস্ততা ছিল প্রশ্নাতীত। স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি যেমন সক্রিয় ছিলেন, চলমান ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’বিরোধী আন্দোলনেও তিনি রাজপথেই ছিলেন।’’
ডনের মৃত্যু যশোর বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন অ্যাডভোকেট সাবু।
ডনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এবং নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু। পৃথক বিবৃতিতে বিএনপির দুই কমিটির নেতারা শোকসন্তপ্ত পরিবার-সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
উলেখ্য বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডন ছিলেন এই শহরের পরিচিত রাজনৈতিক কর্মী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। জেলা বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছাড়াও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে একজন সামাজিক মানুষ হিসেবে শহরে তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল।