যশোর অফিস : যশোর অফিস যশোর শহরের খড়কী এলাকায় পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৭জনকে। আর মামলাটি করেছেন, খড়কী দক্ষিণপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩২)। আসামিরা হলো, খড়কী দক্ষিণপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে খায়রুজ্জামান লিপ্টন (২৫) ও সবুজ হোসেন (২১), জিহাদ আলী গাজীর ছেলে রিন্টু গাজী (৩৫), খলিলুর রহমানের ছেলে রিফাত হোসেন (২২), রফিকের ছেলে লিপু (২৩), ইসমাইলের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫) এবং সাদেকের ছেলে রায়হান (২২)। পুলিশ লিপ্টনকে আটক করেছে।
এজাহারে মনিরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, গত ২ মার্চ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তিনি ও একই এলাকার বাবর আলীর ছেলে কালাম হোসেন মসজিদের আছরের নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিদের সাথে দেখা হলে তারা নানা ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে, হুমকিও দেয়। নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরার সময় আসামি লিপ্টনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কালামকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি এবং কালম নিশেধ করলে আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারপিট করে। লোহার রড দিয়ে বেদম মারপিট করে। এতে কালামের হাতের তিনটি আংগুল ভেঙ্গে যায়। পরে তাকে এবং কালামকে আরো মারপিট করে নহুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর কালামকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কালামের ছেলে বিল্লাল হোসেন তার পিতাকে দেখে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওইদিনই রাত ৮টার দিকে লিপ্টনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকেও মারপিট করে। তার নাকে মুখে ও চোখে আঘাত করে জখম করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিল্লালকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
এ বিষয়ে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলাল উজ্জামান জানিয়েছেন, এই মামলার প্রধান আসামি খায়রুজ্জামান লিপ্টনকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খড়কী জেবিন মোড় থেকে আটক করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।