যশোর : যশোর অভয়নগরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জসিম উদ্দিনকে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্পেশাল (জেলা ও দায়রা জজ) ও বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো, অভয়নগরের শমসপুর গ্রামের মৃত. মতলেব সরদারের ছেলে আইয়ুব আলী, হারুন সরদারের ছেলে মারুফ হোসেন, হামিদ সরদারের ছেলে রবি ও মৃত মতলেব সরদারের ছেলে আলম সরদার। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা ও আসামি পক্ষে শফিকুর রহমান। সাজাপ্রাপ্ত মারুফ হোসেন ও আইয়ুব আলী আটক আছে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কেশবপুরের আড়ুয়া গ্রামের আলতাফ সরদারের ছেলে জমিস উদ্দিন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি কেশবপুরের কলাগাছি বাজার থেকে আসামি আলম ও মারুফ মোটরসাইকেল চালক জসিমকে ভাড়া নিয়ে অভয়নগরের সমসপুর গ্রামের মারুফের বাড়ি নিয়ে আসে। জসিম বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি করে জানতে পারেন অভয়নগরের সমসপুর গ্রামের মারুফের বাড়ি গিয়েছিল। এরপর স্বজনরা মারুফের বাড়িতে গিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করলে জসিমকে হত্যার কথা স্বীকার ও সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের চাচা আমিনুর ইসলাম বাদী হয়ে ওই চারজনকে আসামি করে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে আটক মারুফকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিল। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী নুরুল ইসলাম। এ হত্যা মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলম ও রবি পলাতক রয়েছে।