যশোর: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে শামসুর রহমান (৮০) নামে এক ৩০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত শামসুর রহমান অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামের মৃত. ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং একটি হত্যা মামলায় যশোর কারাগারে কয়েদি হিসেবে কারাভোগ করছিলেন। ২৬ মার্চ তার সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
যশোর কারাগারের জেলার আবু তালেব বলেন, গত বছরের ২০ আগষ্ট একটি হত্যা মামলায় শামসুর রহমান কারাগারে আসেন। কারাগারে আসার পর থেকেই তিনি ডায়বেটিকস, প্যারালাইসিস ও হার্টের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় চর্ম রোগে ক্ষত হয়েছে। বিধায় তাকে কারাগারে আসার পর থেকে কারাভ্যান্তরে মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। একই মামলায় তার এক ছেলে ৩০ বছর কারাভোগ করছেন। ওই ছেলে তাকে দেখাশুনা ও খাওয়ানো এবং সেবাযত্ম করতেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘রাত ৮টা ২২ মিনিটে কয়েদি আসামি শামসুর রহমানকে কারাগার থেকে হাসপাতালে আনেন। তখন মৃত অবস্থায় পাই।’ কি কারণে এবং কেন তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানাতে পারবেন বলে তিনি জানন।