যশোর: যশোরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার কাস্টমস গুদামের চুরির ঘটনা রহস্যজনক বলে দাবি করছেন ওই এলাকার লোকজন। প্রত্যেক বছর ওই গোডাউন থেকে পণ্য চুরির পেছনে শ্রমিকরা জাড়িত। একই সাথে গোউন ইনচার্জ এই ঘটনার অদ্যপ্রান্ত জানেন বলে অভিযোগ উঠলেও ইনচার্জ ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে এই বিষয়ে কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে আটক ৫ শ্রমিকসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে আড়াইশ গ্রামের মতো সোনা, ১শ ৯৬টি বাংলা টাকার ৫শটি নোট, পাকিস্তানি ও ভারতীয় মুদ্রা, ডলার এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনসেটসহ ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩২ টাকা খোয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত পক্ষে চুরি বা সেখান থেকে পণ্য গায়েব করার পরিমান ঢের বেশি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ অক্টোবর রাতে চাঁচড়া কাস্টমস গুদামের স্টোর রুমে চুরি হয়েছে বলে ১৪ অক্টোবর পুলিশকে অবহিত করা হয়। বলা হয়-সেন্টি রুম পার হয়ে পরপর দুটি রুম পেরিয়ে তৃতীয় রুমের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে ওই চুরি করা হয়েছে। চুরির প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে কোতয়ালি থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান সংবাদ পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে সন্দেহে শ্রমিক শংকরপুরের ওলিয়ার রহমান, চাঁচড়া রায়পাড়ার মামুন মুস্তাফিজ, সোহাগ মাহমুদ, আকবর আলী ও রিপন হোসেনকে আটক করেন। কাস্টমসের সহকারি কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস আহমেদ ও গোডাউন ইনচার্জ ফারুক হোসেন পুলিশ অফিসারকে জানান, চুরি সংক্রান্ত ঘটনাটি ১৬ জন অফিসার খতিয়ে দেখেছেন। এছাড়া অফিসারদের মধ্যে তিন অফিসার সিজার লিস্ট ও এজাহার তৈরী করে থানায় জমা দিয়েছেন। প্রায় আড়াইশ গ্রামের মতো সোনা, ৯৮ হাজার বাংলাদেশি মুদ্রা, পাকিস্তানি ও ভারতীয় রুপি, আমেরিকান ডলার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল চুরি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান মোট ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩২ টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিমান মুদ্রা চুরি হয়। কোতয়ালি থানার এসআই মোখলেছুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে ডিউটিতে থাকা কাস্টমস সিপাহী মোর্শেদ ও লেবার ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কাস্টমসের সহকারি কমিশনার সৈয়দ মেকাদ্দেস হোসেন জানিয়েছেন, অল্প কিছুদিন আগে তিনি যশোরে যোগদান করেন। চুরির ঘটনায় তিনি বিব্রত। পুলিশে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।