ভীত হয়ে সরকার আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক
রহমানকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে
রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : অগণতান্ত্রিক সরকারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় নির্বাচন ও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, দেশের মানুষকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য দেশি-বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে তাকে স্তব্দ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ড. মঈন খান মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে যশোর নগর বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির আলোচনায় ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, তারেক রহমানের শরীরে শহীদ জিয়ার রক্ত প্রবাহিত। শহীদ জিয়া গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার ঘোষনায় বাংলাদেশের জনগন স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তারই উত্তরসূরী তারেক রহমান তৃনমূলের মানুষকে সংগঠিত করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করার চেষ্টা শুরু করায় ভীত হয় আওয়ামী লীগ। এ কারনে আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে ঘিরে ষড়যন্ত্রেও জাল বিস্তার হতে পায়। যার পরিনতি পায় ১/১১ সরকারের আমলে। ফখরুদ্দিন মঈন-উদ্দিনের কাছে দস্তখত দিয়ে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে। সে নির্বাচন ছিলো পাতানো ও ষড়যন্ত্রমূলক। যেকারনে বিএনপি ৩০ আসন পায়। ফখরুদ্দিন মঈন-উদ্দিনের কথায় সাড়া দিলে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতো। কিন্তু বেগম জিয়া সে অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের সংবিধানে একটি ধারা রয়েছে। যে ধারায় উল্লেখ রয়েছে দেশের যেকোন নাগরিক দেশে প্রবেশ করতে পারবেন বা বিদেশে যেতে পারবেন। অথচ তারেক রহমানের ক্ষেত্রে সংবিধানের সেই আইন মানা হচ্ছেনা। তাকে অন্যায় করে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছেনা। আইন করে তার বক্তব্য দেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য অনির্বাচিত। বিগত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের আশা-আখাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে বিনাভোটের এসব সংসদদের দিয়ে আইন তৈরী করে তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের আপামর জনগনের প্রানের নেতা আমাদের সবারপ্রিয় তরিকুল ইসলাম। তিনি আজীবন সংগ্রামী নেতা। তার নেতৃত্বেই এই যশোর থেকে বর্তমান এ ফ্যাসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে উঠবে।
যশোর নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌরমেয়র মারুফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ড ও বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুন্নবী।
সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আলহাজ মিজানুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু।