কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: যুদ্ধ করে নিজের জীবণ দিয়েও স্বীকৃতি পেল না কলারোয়ার মতিয়ার রহমান। অথচ তার গণ কবরে ২১ ফেব্রুয়ারী ও ১৬ ডিসেম্বর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এই মতিয়ার রহমান হলো-সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হামিদপুরের পরানপুর গ্রামের মৃত ইছতুল্লাহ সানার ছেলে। তিনি ছিলেন সু-শিক্ষিত ব্যক্তি। ১৯৭১সালে নিজের জীবণ বিলিয়ে দিলেন তিনি। যুদ্ধ করতে করতে যশোর জেলার জামতলা নামক স্থানে ১৯৭১সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি সহ ৫/৬জন মারা যান। তাদের ওই স্থানে গণ কবর দেওয়া হয়। প্রতি বছর তাদের স্বরণ সভা সহ গণ কবরে পুষ্পুমাল্য নিবেদন করেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এই বীর সেনার নাম সকলের উর্দ্ধে রাখতে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের নামে একটি সড়কে মাইল ফলক নির্মাণ করেন। সড়কটি হলো-কলারোয়া পৌর সদরের পাকা পুলের মাথায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সড়কের মাইল ফলক নির্মাণ করা হয়ে ছিলো। বর্তমানে রাস্তাটি রয়েছে কিন্তু মাইল ফলকের কোন চিহ্ন ও পর্যন্ত নেই। এই মতিয়ার ছিলেন মৃত. ইছতুল্লাহর ছোট ছেলে। তারা ভাই বোনের মধ্যে ছিলো ৩ভাই, ৬বোন। তিনি ছিলেন ছোট । এই বীর সেনার পারিবারের মধ্যে এখনও চাচা ভাইপোরা বেঁচে রয়েছেন। তারা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চায়। কলারোয়া উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধার মোসলেমউদ্দিন জানান-মতিয়ার রহমান যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছেন তিনি শুনেছেন। নিশ্চয় মতিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা জানান- সকারের পক্ষ থেকে বহু বার নাম বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের নাম যাচাই বাচাই হয়েছে। কিন্তু মতিয়ার রহমানের পক্ষে কেহ কোন দিন কোন ফাইল নিয়ে জমা দেয়নি। যার কারনে তার নাম বাদ পড়তে পারে। কাগজ পত্র সঠিক থাকলে সরকার কোন দিন সুযোগ দেয় তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধায় স্বীকৃতি তে নাম লেখাতে পারবেন। অন্যদিকে কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী জানান-মরহুম মতিয়ার রহমানের পক্ষ থেকে তার পরিবারের লোকজন তার কাছে একদিন এসেছিলেন-কিন্তু তার পরে তাদের আর কোন খোজ খোবর নেই।