ঢাকা অফিস: সারাদেশে আজ প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসির ফলাফল। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের মূল্যায়ন নিয়ে কোনো পরীক্ষার্থীর আপত্তি থাকলে তাঁরা পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবেন। আগামীকাল রোববার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল থেকে এই রিভিউর আবেদন করতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে <ঝঢ়ধপব> দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে <ঝঢ়ধপব> দিয়ে রোল নম্বর লিখে এসএমএম করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: জঊঠ <ঝঢ়ধপব> উযধ, <ঝঢ়ধপব> ১২৩৪৫৬ এসএমএস করুন ১৬২২২ নম্বরে।
এরপর ফিরতি এসএমএসে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। তারপর মেসেজ অপশনে গিয়ে জঊঠ লিখে <ঝঢ়ধপব> দিয়ে ণঊঝ লিখে <ঝঢ়ধপব> দিয়ে পিন নম্বর লিখে <ঝঢ়ধপব> দিয়ে যোগাযোগের নম্বর (যেকোনো অপারেটরের নম্বর) দিয়ে এসএমএস করতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ: জঊঠ <ঝঢ়ধপব> ণঊঝ, <ঝঢ়ধপব> পিন নম্বর<ঝঢ়ধপব> মোবাইল নম্বর এসএমএস করুন ১৬২২২ নম্বরে। শিক্ষার্থীপ্রতি আবেদন ফি ১২৫ টাকা। ম্যানুয়াল কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আজ শনিবার ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নের ফল ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে এবার পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন করা হয়েছে। ফলে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। এর মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এবার জেএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি। এর মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীই বেশি। ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বিষয় ম্যাপিংয়ের কারণে এমন হয়েছে।
অবশ্য ২০১৯ সালের এইচএসসিতে ৪৫ হাজার ৮৬৫ পরীক্ষার্থী আগের জেএসসি ও এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এইচএসসিতে তা ধরে রাখতে পারেননি। অন্যদিকে জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পাওয়া ১৭ হাজার ৪৩ জন পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।