রং ফর্সাকারী ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদ ও হাইড্রোকুইনোন

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-০২ - ২১:১৯
ঢাকা অফিস : পাকিস্তানি ৮টি ব্রান্ডের রং ফর্সাকারী ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদ এবং হাইড্রোকুই্নোনের উপস্থিতি পেয়েছে বিএসটিআই।

সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৩টি রং ফর্সাকারী ক্রিমের মধ্যে ৮টি ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পেয়েছে মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই তাদের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা চালিয়ে বিপজ্জনক মাত্রার ক্ষতিকর পারপদ এবং হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।

সোমবার (২রা মার্চ) বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী সাজ্জাদুল বারী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত কর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়ছে, পাকিস্তানে উৎপাদিত গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫ দশমিক ৮৫ পিপিএম; এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯ দশমিক ৯৬ পিপিএম; কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০ দশমিক ৩৮ পিপিএম; ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫ দশমিক ৮৮ পিপিএম; গোল্ডেন পার্ল কসমেটিকস প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪ দশমিক ১৩ পিপিএম; পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০ দশমিক ৪৫ পিপিএম; নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩ দশমিক ৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০ দশমিক ৬৮ পিপিএম মিলেছে। এছাড়া হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮ দশমিক ৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪ দশমিক ৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, স্ক্রিন ক্রিমের বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারি এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা যথাক্রমে ১ পিপিএম এবং ৫ পিপিএম।

এ অবস্থায়, জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধে নির্দেশ দিয়েছে বিএসটিআই। তা না হলে আমদানিকারক, সরবরাহকারী ও বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।