রাজধানীতে মধ্যরাত ও ভোরে বেড়েছে ছিনতাই

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-০১ - ২১:১১
ঢাকা অফিস : শতাধিক ছিনতাই প্রবণ এলাকা চিহ্নিত, পুলিশের বাড়তি নজর থাকলেও অন্ধকার এবং জনশূণ্য স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ।

রাজধানীতে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোর কিংবা গভীর রাতে ঘটছে এসব ঘটনা। পুলিশ বলছে, ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বাড়তি নজর রয়েছে তাদের। তবে, জনশূণ্য এলাকায় যাতায়াতের সময় নিজেদের আরও সতর্ক থাকার কথাও বলছে তারা।

রাজধানীতে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের দৃশ্যগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি পথে কিংবা রিক্সায় করে যাতায়াতের সময় আচমকা টান। মূর্হুতেই সবকিছু নিয়ে চম্পট ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে নিজেদের ভারসাম্য রাখতে না পেরে ভুক্তভোগীদের অনেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে, নিহত হবার ঘটনাও রয়েছে বেশকয়েকটি। যার সবশেষ উদাহরণ রাজধানীর মুগদায় শনিবার ভোরে এক নারীর মৃত্যু।

সাধারণত যারা প্রয়োজনীয় কাজে গভীর রাত কিংবা ভোরে বের হচ্ছেন তারাই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন বেশি। গত কয়েক মাসে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকাসহ লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনের সামনের সড়কে।

রাজধানীতে প্রায়ই এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। তবে, শতাধিক স্থানকে ছিনতাই প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দারা। এর মধ্যে মহাখালী ও গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন ও সদরঘাট এলাকা অন্যতম। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পাড়া মহল্লাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ভোর কিংবা রাতে অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

ঢাকা উত্তর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘কোনো ভিকটিম মামলা করতে আসলে অবশ্যই তার মামলা নিতে হবে। কুইক রেসপন্স করতে হবে এবং সেক্ষেত্রে থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ একত্রে কাজ করতে হবে।’

গোয়েন্দারা বলছে, ছিনতাই ঠেকাতে কাজ করছেন তারা। এমন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করাসহ অন্ধকার কিংবা জনশূণ্য এলাকায় চলাচলে নিজেদেরও সতর্ক হতে হবে।

শনিবারও মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৪২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে গোয়েন্দারা।

রাজধানীর মুগদা স্টেডিয়াম এলাকার কয়েকশ’ গজ এলাকার মধ্যে পুলিশের কয়েকটি টহল টিম থাকলেও শনিবার ভোরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রাণ হারান এক নারী। তাই ভোররাতে যারা প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা জোরালো ভূমিকা রাখছে সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।