রামপালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৩ - ১২:২০

সুব্র ঢালী, রামপাল (বাগেরহাট) : রামপালে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বৃষ্টি মিস্ত্রী (১৫) প্রেম ঘটিত কারনে আত্মহত্যা করেছে। সে রামপাল সদর ইউনিয়নের পিপুলবুনিয়া গ্রামের উত্তর পাড়ার দুলাল মিস্ত্রীর ২য় কন্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে এ আত্মহত্যার পিছনে প্রেমিকের প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে । রামপাল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। বৃষ্টির পিতা দুলাল মিস্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার অনুমান বেলা ১ টা ৩০ মিনিটের সময় বৃষ্টি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে তার নিজ রুমে প্রবেশ করে। এরপর বেলা অনুমান আাড়াই টায় বৃষ্টির মা মিনতি মিস্ত্রী বাইরের কাজ সেরে বৃষ্টিকে ডাকতে ডাকতে ঘরে প্রবেশ করে বৃষ্টির রুমের দরজা বন্ধ দেখেন। এরপর মায়ের ডাকে বৃষ্টির কোন সাড়া না মেলায় ডাক চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙ্গে বৃষ্টিকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। ওই সময় তার মোবাইল ফোনটি আড়ার উপর পাওয়া যায়। এর পর তাকে নামিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহতের পিতা দুলাল মিস্ত্রী জানান, তার মেয়ে বৃষ্টির সাথে পার্শ¦বর্তী কালেখারবেড় গ্রামের পূর্ব পাড়ার কৃপা সিন্ধু অধিকারীর পূত্র কলেজ পড়–যা দেবাশীষ অধিকারীর সাথে প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাদের আশা ছিল দেবাশীষ তার কন্যাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেবে। তার বাবা একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে দেবাশীষের বাড়িতে যান। কিন্তু বাধ সাধে দেবাশীষের মা জযন্তী অধিকারী এবং বোন গোপামনি। বৃষ্টির পিতার ধারনা দেবাশীষ ও তার বোন গোপামনির চাপে বৃষ্টি এ আত্ম হত্যার পথ বেছে নিতে পারে। এ জন্য তিনি পুলিশের তদন্ত দাবী করেন। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিকরা দেবাশীষের বাড়িতে গেলে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তার প্রতিবেশী চিত্তরঞ্জন অধিকারী ও তার স্ত্রী গৌরী অধিকারী জানান, তারা সকালে বাড়িতে ছিল কিন্তু এখন কোথায় গেছে জানিনা। এব্যাপারে রামপাল থানার ওসি মোঃ লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।