রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-১৩ - ১৪:৩২

ইউনিক ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্ট।

এরপর রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতি বরাবরে পাঠানোর আদেশ দেন।

বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এ রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

নিয়ম অনুযায়ী, এখন রিট আবেদনটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেবেন প্রধান বিচারপতি।

 আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ। এর আগে গত ৭ মার্চ এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

আবেদনে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং পরে গেজেট প্রকাশ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আইনজীবীর দাবি, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই সঠিক মতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪ এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সালের ২৭ নম্বর আইন) এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা মোতাবেক মো. সাহাবুদ্দিন, বাবা-মরহুম শরফুদ্দিন আনছারী, বাসা/হোল্ডিং-৮৮/১, গ্রাম/রাস্তা. শিবরামপুর, পাবনা পৌরসভা, ডাকঘর- পাবনা, পোস্ট কোড-৬৬০০, উপজেলা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ পূর্তি হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। শপথ নিয়ে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে যেতে এ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নব-নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিনকে।