রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বামীর পাওনা টাকা চাওয়ায় দেনাদাররা ও তার লোকজন পেটে লাথি মেরে গর্ভবর্তী গৃহবধূ হীরা আক্তারের ৬ মাসের সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিষ্ঠুর নির্যাতনে সঙ্গে সঙ্গে ওই ৬ মাসের সন্তান গর্ভপাত হয়। বর্তমানে গৃহবধূ হীরা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর কান্তিকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর স্বামী রাজু জানান, তিনি তার প্রতিবেশী মামুনের কাছে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি মোবাইল ফোন বিক্রি করেন। এর মধ্যে মামুন রাজুকে ৭ হাজার ৫’শ টাকা পরিশোধ করেন। বেশকয়েকবার রাজুর প্রতিবেশী মামুনের কাছে টাকা চাইলেও দেই দিচ্ছি বলেও টালবাহানা শুরু করেন। শুক্রবার সকালেমামুনের বাড়িতে গিয়ে তার কাছেগৃহবধূ হীরা আক্তার তার স্বামী রাজুর পাওনা টাকা চায়। পাওনা টাকা চাইলে মামুন, স্ত্রী মনি বেগম, ভাই রিপন, বোন জামাই জাহিদুল, মা জানু বেগম, বোন রোকসানা, সাথী ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ হীরা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবেশীদের গালাগালাজে বাঁধা প্রদান করে হীরা আক্তার তার বাড়িতে চলে যান। এর জের ধরে দেনাদার মামুন ও তার পরিবার হীরা আক্তারের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর শুরু করেন। এসময় ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করলে মামুনসহ তার পরিবারের লোকজন হীরা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করে তার পেটে লাথি মেরে ৬ মাসের গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত করেন। এসময় হীরা আক্তারের ডাক-চিৎকারে স্বামী রাজু এগিয়ে আসলে মামুন ও তার পরিবারের লোকজন তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।