রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শশুরবাড়ির লোকজন চার বছরের শিশুকে আটকে রেখে সালমা বেগম (২৮) নামে এক এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বিতারিত করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন খাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ সালমা বেগম আড়াইহাজার উপজেলার গির্দা এলাকার নুরু মিয়ার মেয়ে।
গৃহবধূ সালমা বেগম জানান, ৫ বছর আগে উপজেলার কাঞ্চন খাপাড়া এলাকার মৃত মানিক খানের ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে তার বিয়ের হয়। বিয়ের সময় তার মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার প্রদান করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ফাতেমা (৪) নামে একটি মেয়ের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের বেশ কিছুদিন পরই সালমা বেগমকে কিছু না জানিয়ে স্বামী আল-আমিন বিদেশে চলে যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী আল-আমিনের নির্দেশে শাশুরি নূর বেগম, ভাসুর সেলিম গৃহবধূ সালমা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে শাশুরি নূর বেগম, ভাসুর সেলিমসহ পরিবারের অন্য সদস্য বিলকিস, হাওয়া, শাহানাজ, রেহানা, রাশেদ গৃহবধূ সালমা বেগমকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। গৃহবধূ সালমা বেগম যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। যৌতুকের এনে দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা সালমা বেগম এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় শশুর বাড়ির লোকজন ৪ বছরের শিশু ফাতেমাকে আটকে রেখে সালমা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না নিয়ে আসলে ফাতেমাকে ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।