রূপসার ফজলুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও জমাজমি প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-০৬ - ১৬:৫০

রূপসা প্রতিনিধিঃ রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আঃ রহমান ফকিরের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত কৃষিব্যাংক কর্মচারী ফজলুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও জমাজমি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা। ফজলুল হক (ফজলে ফকির) জমাজমি বিক্রয় করার পরে উক্ত বিক্রয় কৃত জমি পূণরায় নিজপুত্রদ্বয় ইমরান ও মেহেদীকে দালিলিক হস্তান্তর করে দেয়। প্রকৃত পক্ষে ফজলুল হক (ফজলে ফকির) ক্রয়কৃত এবং পৈত্রিক সুত্রেপ্রাপ্ত মোট ৮৩ শতক জমির মালিক। তিনি ইতিমধ্যে ৮৩ শতক জমিই বিক্রয় করেছেন। যা ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রক্ষিতে নায়েব তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিগত

১১/০৯/১৯৮৯ ইং তারিখে ১৩৬৯/৮৯ নং দলিলের মাধ্যমে মনিরা বেগমের নিকট ০.৪২ একর জমি, বিগত ২৪/১০/১৯৯১ ইং তারিখে ১৬৯৯/৯১ নং দলিলের মাধ্যমে মো: খলিলুর রহমানের নিকট ০.৩৫ একর জমি এবং সর্বশেষ ২১/০১/২০১০ ইং তারিখে ৬৮/১০ নং দলিলের মাধ্যমে ০.০৬ একর জমি ছত্তার ফকিরের নিকট বিক্রয় করে মোট (০.৪২+০.৩৫+০.০৬) = ০.৮৩ একর জমি জমি বিক্রয় করে পুরোপুরি নিঃস্বত্তবান হয়ে যান। উল্লেখ্য যে ফজলুল হক ফরিরের হোসেনপুর মৌজায় আর কোন জমি অবশিষ্ট রইল না। ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেন জানান আরএস জরিপ চলমান কালে জমি বিক্রি করেছে, পরবর্তীতে আরএস রেকর্ড ফজলুল হক ফকিরের নামে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি উক্ত বিক্রিত জমি নিজের ছেলেদের নামে পূণরায় হেবা দলিল করে দেয় । পরবর্তীতে জেনে বুঝে ফজলে ফকিরের ছেলে ইমরান এবং মেহেদি প্রতারণা করে নিজ নামে মিউটেশন করে নিয়েছে।এমতাবস্থায় আমি জমির প্রকৃত মালিক মোশারেফ হোসেন ফকির উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে বিষয়টি প্রমাণসহ অবহিত করলে তিনি মিউটেশন সংক্রান্ত সকল আদেশ স্থগিত করেন। যার কারণে ইমরান নতুন প্রতারণা করার জন্য রূপসার কিছু হলুদ সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে অপপ্রচার চালানোসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা লিখে অভিযোগ দায়ের করে উপজেলা ভুমি অফিসের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। অপরদিকে আমি মোশাররফ হোসেন খরিদা সুত্রে উক্ত জমির মালিক হয়েছি তার বিবারণ নিম্নে পেশ করিলাম। যথাক্রমে ০৯/০৬/২০০৫ ইং তারিখে ১০৮১/০৫ নং দলিলের মাধ্যমে মনিরা বেগমের (ফজলুল হক ফকিরের জমির ক্রেতা) নিকট থেকে ০.২৩৩৭৫ একর জমি, বিগত ২৩/০৬/২০০৫ ইং তারিখে ১২৩১/০৫ নং দলিলের মাধ্যমে মো: খলিলুর রহমানের (ফজলুল হক ফকিরের জমির ক্রেতা) নিকট থেকে ০.২১৫০ একর জমি, বিগত ২৮/০২/২০০৮ ইং তারিখে সেলিনা বেগম, শিরিনা বেগম ও পারভীন আক্তারের নিকট থেকে ৩৪১/০৮ নং দলিলের মাধ্যমে ০.০৮ একর জমি, বিগত ৩০/০৬/২০১১ ইং তারিখে ১৫৫৯/১১ নং দলিলের মাধ্যমে খরিদা সুত্রে মালিক হয়ে বিধি মতে নিজনামে নামপত্তন করে নেয়। এব্যপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমির) নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন জমিজমা সংক্রান্ত বিয়য়ে উভয় পরিবারের মধে গোলযোগ রয়েছে এবং আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। একারণে আমার দপ্তরের কার্যক্রম স্থাগিত করেছি।