খুলনা : বটিয়াঘাটা উপজেলার জনগুরুত্বপূর্র্ণ সড়কগুলোর মধ্যে রূপসা-টু গৌরম্ভা এই সড়কটির বেহাল দশা চরমে উঠেছে। এই সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। জাবুসা চৌরাস্থা থেকে জাবুসা স্কুলমাঠ পযর্ন্ত, জাবুসা ব্রিজ (নারায়নখালী খাল) থেকে বাইনতলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত মোট ৩ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় ভেঙ্গে চুরে নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্থা ভাঙ্গা থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ছে সাধারণ মানুষ। কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা হলেও পিচের নমুনা ৩ কিলোমিটরের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার নেই। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা বড় বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে।
গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে বাইনতলা বাজারে ইজিবাইক গর্তে পড়ে উল্টে যায়। ইজিবাইকে ৫ জন যাত্রীর মধ্যে দুই জন মাথায় গুরুতর আঘাত পাই এবং অন্যদের সামান্য কেটে যায়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রতিদিন দু’একটি মটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ভ্যান উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর ছোটখাটো সড়ক দূর্ঘটনা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরী ও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, ইজিবাইকসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এমনকি রূপসা থেকে গৌরম্ভা পর্যন্ত রাস্তাটির দু’পাশে তিনটি কলেজসহ কয়েকটি হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কয়েক’শ শিক্ষকসহ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর চলাচলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একান্ত বাধ্য হয়ে যাতায়াত করলেও তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। রাস্তাটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, এই সড়কটিতে কয়েক বছরে সংস্কারের ছোয়া লাগেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপণীত। ব্যস্ততম এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষের ভীষণ কষ্টভোগ করতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা যখন খুলনা শহরে হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে তখন রাস্তার বেহাল দশার কারণে তাদের আকুতি মিনতি দেখে মনে হয় এ যেন দেখার কেউ নেই। দেখে মনে হয়- পুর্ব বটিয়াঘাটার এই রাস্তাটি অভিভাবকহীন।
এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে যাতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) এমপির সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এলাকাবাসীর কয়েকজন আক্ষেপ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েও আমাদের রাস্থার উন্নয়ন করতে পারেনি।
নদীর পূর্ব পাশের ৩ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করলেও তারা যেন এ দৃশ্য দেখেও দেখেন না। তারা জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।