খুলনা: খুলনার রূপসা নদীতে সিমেন্টের কাঁচামালসহ (জিপসাম) ‘এমভি বিবি-১১৩৪’ নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জাহাজে থাকা ১১জন স্টাফ সাঁতরে নিরাপদে তীরে উঠেতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খানজাহান আলী সেতু সংলগ্ন রূপসা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, জাহাজটি সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানা বরাবর রূপসার মাঝ নদীতে নোঙ্গর করা ছিলো। দুপুর সোয়া ২টার দিকে হঠ্যাৎ বিকট শব্দে তলা ফেটে এ কার্গো জাহাজটির সামনের অংশ ডুবতে শুরু করে। বিকেল ৩টা ২০মিনিটে সম্পূর্ণ জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটিতে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির মালিক নারায়ণগঞ্জের আলী হোসেন। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খুলনা সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার তারেক হাসান ভূঁইয়া বলেন, মংলা হাড়বাড়িয়া থেকে কার্গো জাহাজটি ঘটনাস্থল রূপসার মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে। এসময় হঠ্যাৎ বিকট শব্দে তলা ফেটে কার্গো জাহাজটি ডুবে য়ায়। খবরে পেয়ে খুলনা সদর ফায়ার স্টেশন ও নদী ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দুই ইউনিটের চারজন ডুবরি পানি তলদেশে গিয়ে নিশ্চিত হয় জাহাজটিতে সিমেন্টের কাঁচামাল (জিপসাম) রেয়েছে। তবে জাহাজে থাকা ১১জন স্টাফ সাঁতরে নিরাপদে তীরে উঠেতে সক্ষম হয়েছে।
ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মালিকের অনুমতি পেলে জাহাজটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সিনিয়র স্টেশন অফিসার তরেক হাসান ভূঁইয়া। তবে জাহাজটিতে এক হাজার ৩৫ মেট্রিকটন সিমেন্টের কাঁচামাল ছিলো বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে আসা কোস্টগার্ডের এক সদস্য। এদিকে জাহাজ ডুবির ঘটনা শুনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রূপসা নদীতে জাহাজ ডুবির ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।