আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর দপ্তরের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে এ স্মারকে স্বাক্ষর করেন। খবর ইউএনবির।
নেপিদোতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে এ স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ এই কার্যক্রম শেষ হবে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। স্মারকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে এক বৈঠকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তির সংশোধনীর বিষয়ে মতবিনিময় করেন দুই মন্ত্রী।
এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক চুক্তির বিষয়ে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সময়সীমার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করেনি মিয়ানমার। তারা শুধু প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে রাজি হয়েছেন। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়নি।
তিনি বলেছেন, আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। যদিও আমাদের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ পূরণ হয়নি।
প্রসঙ্গত, রাখাইনে গত ২৫ আগস্ট তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ করে রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের হাত থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ শুরু থেকেই তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বলে আসছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বও মিয়ানমারকে এব্যাপারে চাপ দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে গতকাল বুধবার নেপিদোতে দুই পক্ষ দীর্ঘ আলোচনা করেছে। বিশেষ করে সমঝোতা স্মারকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চূড়ান্ত না হওয়ায় এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত, নাকি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ফেরত পাঠানোর আগে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে জাতিসংঘকে রাখা হবে কি না, রাখাইনে ফেরত পাঠানোর পর রোহিঙ্গাদের কোথায় রাখা হবে।