লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশঃ ২০২৩-০৮-২২ - ১৫:১৭

ইউনিক ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল নামের দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, ফয়সাল খান জয়, মো. মিলন প্রকাশ ওরফে সিএনজি মিলন, আল-আমিন, বরকত, নিশান, রুবেল, আলাউদ্দিন সুমন প্রকাশ চুইল্লা ওরফে সুমন ও লোকমান। রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, কাউসার, চরচামিতা সুমন, রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, খোরশেদ আলম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিও ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের একটি দোকানে মিরন আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মিরন মারা যান। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় খোরশেদ আলম, শাহাদাত প্রকাশ ওরফে কালা শাহাদাত ও ইলিয়াস কোবরাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়। একজন আসামিকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।