করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় জেলাখানাকে নিরাপদ রাখতেই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে হাজতিদের একটি তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবঅও পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সারা দেশের বিভিন্ন জেলখানা থেকে এসব কয়েদিদের মুক্তি দেয়া হবে।
এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকা অনুমোদন পেলে তা যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আপত্তি না থাকলে পাঠানো হবে আদালতে। এরপর, বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন জামিন দেয়া যায় কিনা। মুক্তির বিষয়টি শেষ পর্যন্ত বিচারকদের হাতে।
প্রতি বছরই বিভিন্ন সময়ে বন্দিদের মুক্তির সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে, যারা অচল, অক্ষম বা অল্পদিন সাজা বাকি আছে তাদের তালিকা করে নিয়মিত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় বোর্ড গঠন এবং মিটিং করে তাদের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এছাড়া, বন্দিদের সাধারণত ঈদ, নববর্ষ, বা জাতীয় দিবস সামনে রেখে মুক্তি দেওয়া হয়। সেরকম বন্দিদের একটি প্রস্তাবও আলাদাভাবে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।