যশোর অফিস: লোকসমাজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শান্তনু ইসলাম সুমিত ও নির্বাহী সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিক-কর্মচারীরা। শনিবার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে পত্রিকাটির সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু।
এসময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রাজেক জাহাঙ্গীর, মফস্বল সম্পাদক সিদ্দিক হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের ইউনিট প্রধান ও চিফ রিপোর্টার মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস, চিফ সাব এডিটর শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইনসহ সব সাংবাদিক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, পত্রিকার চেয়ারম্যান শান্তনু ইসলাম সুমিত একজন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার বাবা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একজন আলোকিত মানুষ হলেও তিনি কখনো রাজনীতিতে জড়াননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রজীবন শেষ করে চাকরি ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। এখনো তিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অথচ তাকে বিনা অপরাধে আটক করে তিনটি মামলা দিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জানান, গত ৩১ জানুয়ারি রাতে ঢাকার শান্তিনগরের বাসা থেকে তার ছোটভাই লোকসমাজের নির্বাহী সম্পাদক বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরদিন তাকে দুই দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। অমিত অ্যাজমা আক্রান্ত। তার নিয়মিত ওষুধের প্রয়োজন হয়। বড়ভাই হিসেবে শান্তনু ইসলাম সুমিত সেই ওষুধ দিতে ডিবি কার্যালয়ে যান। সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত নানা টালবাহানায় সেখানে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর হঠাৎই তাকে ডেকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। রাতভর তাকে আটকে রাখা হলেও তা অস্বীকার করা হয়। পরে সকালে তাকে তিনটি মামলায় আটক দেখিয়ে দুপুরের পর আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড দাবি করা হয়। পরে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারুল কবীর নান্টু আরো জানান, পত্রিকার প্রকাশক তরিকুল ইসলাম কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে সপ্তাহে তাকে তিনদিন ডায়ালাইসিস নিতে হয়। এমন অবস্থায় তার দুই ছেলেকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া খুবই দুঃখজনক।