শীতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-১৮ - ১১:০৫

ইউনিক ডেস্ক : চলছে মাঘ মাস। আজ বাংলা মাসের ৪ তারিখ। বাতাসে এখন শীতের তীব্র আবেশ।  ফাল্গুন আসতে বাকি বেশ কয়েকদিন। এরই মধ্যে নগরীর কিছুকিছু গাছে স্বর্ণালি শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। গাছের ডালে থরে থরে ঝুলছে মুকুল। আম গাছে চোখ পড়লেই দেখা যাবে মুকুলে ছেয়ে আছে অসংখ্য আমগাছ। এভাবে ফাগুনের আগেই গাছে গাছে প্রস্ফুটিত আমের মুকুল সর্বত্র ছড়াচ্ছে হালকা স্বর্ণালী আভা। আমচাষি ও বাগান মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝেছেন আমের মওসুম এসে গেছে। বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভাল ফলনের আশায় জোরে শোরেবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে এখনও শীতের আমেজ বিরাজ করলেও আগাম জাতের আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবার তীব্র শীতের শেষে বসন্ত আসবে। তার আগে গাছে গাছে ফুৃটছে নানান রঙের ফুল। আমগাছের শাখাগুলো ভরা উজ্জল সোনালী মুকুল যেনআকাশের বুকে ডানা মেলে দিয়েছে। দালানে ঠাসা এই স্বল্পবৃক্ষের  খুলনা শহরে মুকুলে ছেয়ে যাওয়া আমগাছগুলো আলাদা শোভা ছড়িয়েছে। নগরীর খালিশপুর এলাকার বেসরকারী একটি কোচিং সেন্টারের সামনে আমের মুকুল শোভা ছড়াচ্ছে। শহর জুড়ে সবচেয়ে বেশি আমের মুকুল দেখা গেছে, নিরালা,শেরে বাংলা রোড, খানজাহান আলী রোড, মুজগুন্নি, খালিশপুর ও দৌলতপুর এলাকার গাছগুলোতে। কোন কোন গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আমগুটি। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইনসান ইবনে আমিন  বলেন, বেশ কিছু এলাকায় গাছে গাছে ফুটেছে ফুল, আগাম মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট আম। আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থ্যাৎ যে আবহাওয়াটা  আমের মুকুল হওয়ার জন্য দরকার সেটা আগেই পেয়েছে। সেজন্য আমের মুকুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের গাছে আগাম মুকুল আসে। তিনি আরো বলেন, ডুমুরিয়ায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে আম বাগানে বিভিন্ন প্রকারের আম রয়েছে। তবে দিন দিন লাভের কারনে বাগান ও আম গাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা। দৌলতপুর এলাকার আমচাষি মোঃ শফিকুল সরদার বলেন, পুরোপুরি সকল গাছে মুকুল আসেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই মুকুল আসবে। তবে তীব্র শীতে যেসব গাছে মুকুল এসেছে, তা থেকে ফল হবে কিনা এ নিয়ে শংকায় আছি।এছাড়া শহরের বাইরে পাইকগাছা, রূপসা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, কয়রা, ফুলতলা,তোরোখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলায় শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। শীতের হাওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাওয়া সোনাঝরা মুকুল মন ভালো করে দেয় নগরবাসীর। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্তি উপ-পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কিছু গাছে আমের মুকুল এসেছে । শীতে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। মূল ক্ষতি করে কুয়াশা। এ কারনে মুকুল রক্ষায় চাষিদের গাছ পরিচর্চায়  গুরুত্ব ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশার কারনে এক ধরনের ফাঙ্গাসের সৃষ্টি হয়। তাতে মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই নিয়মিত স্প্রে করতে বলা হয়েছে।