শীর্ষ সন্ত্রাসীর নির্দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ভূয়া সংগঠন। অনুসারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রোষানল থেকে রক্ষার জন্য ব্যাবহার করছে শেখ পরিবারের সন্মানিত সদস্যদের নাম ও লীগ শব্দটি।
আওয়ামীলীগের উপকমিটির বহিস্কার হওয়া সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীর এর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পাওয়া গেছে এক বিশাল রহস্যের সূত্র। কি কারনে ও কাদের মদদে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন ভূঁইফোড় সংগঠন। এইসব ভূঁইফোড় সংগঠনের বেশির ভাগই গড়ে উঠেছে বিএনপি পন্থী টাকা ওয়ালা নেতাদের স্বার্থে। যারা সরাসরি আওয়ামীলীগে যোগ দিতে পারছেনা তাদের অতীত আওয়ামী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ফ্রীডম মানিকের মত সন্ত্রাসীরা নিজেদের ফ্রীডম পার্টির সাবেক কর্মীদের কে এই সব ভূয়া সংগঠনের নেতা বানিয়ে লেলিয়ে দিচ্ছে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদঃ এই সংগঠন টি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মইনুল মামুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল শাহরিয়ার ও সাধারণ সম্পাদক জব্বার রয়েল। এই সংগঠনের সভাপতি একজন ঠিকাদার। সাধারণ সম্পাদক রয়েল সারাদিন ই ঢাকার একটি নগর ভবনে টেন্ডারবাজদের পক্ষে দালালি করে বেরায়। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে তারা ততটা সফল ও জনপ্রিয় হতে না পারলেও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ গঠন করার পর ফুলে ফেঁপে ওঠেছে তাদের আর্থিক অবস্থা। কিভাবে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে!!! কমিটি বিক্রি আর তদবির বানিজ্য করে।জানা যায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকা স্বত্তেও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হচ্ছে সোহেল শাহরিয়ার। সোহেল শাহরিয়ার ওরফে সর্টগান সোহেলের নির্দেশে ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে কিছু বড় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামিদেরকে। এর মধ্যে ঠিকাদার বাশার হত্যা মামলার আসামি রিফাত হোসেন, অপহরণ মামলার আসামি আলী রিফাত, ডাকাতি মামলার আসামি ফ্রীডম তানভীর ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল শাহরিয়ার অন্যতম।এরা সবাই এই সংগঠনের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সাধারণ জনগন কিছু বলার সাহস পায়না কারন তারা নিজেদের আওয়ামীলীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতা বলে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে।এদিকে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদের উন্নয়নের নাম ভাঙিয়ে ক্রীড়া পরিষদ ও গণপূর্ত বিভাগ এর বিভিন্ন ঠিকাদারদের থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে সোহেল শাহরিয়ার ওরফে সর্টগান সোহেল। যখন যেই সংগঠনের কার্যক্রম শক্তিশালী থাকে সোহেল শাহরিয়ার তখন ওই সংগঠনের ই নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা করে। ছাত্রলীগ নেতা কাউসার হত্যা মামলায় নাম আসায় কানাডা পালিয়ে গিয়ে সেখানে টরেন্টো সিটি আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হয় সর্টগান সোহেল কিন্তু পরে ডিমোশন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কানাডা শাখার ও সাধারণ সম্পাদক হয় সর্টগান সোহেল। কিন্তু কানাডা শাখা সেবকলীগের কমিটি বানিজ্য করে বেশি টাকা লাভ না হওয়ায় ওই সংগঠনে ইস্তফা না দিয়েই সমমানের অন্য সংগঠন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই সোহেল শাহরিয়ার।