শৈলকুপায় লাখ টাকার সরকারী গাছ গোপনে বিক্রি

প্রকাশঃ ২০১৭-০৬-১৯ - ২২:১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রায় ১ লাখ টাকার সরকারী গাছ গোপনে বিক্রি করে দিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা । কোন রকম টেন্ডার, নোটিশ, নিলাম ছাড়াই কেনেলের প্রায় ১ লাখ টাকার বাবলা, মেহগনি গাছ বিক্রি করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝিনাইদহের শৈলকুপা শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। কেনেলের ভেতরের অংশ থেকে ৭০ হাজার টাকার কাঁঠাল ও বাবলা গাছ, আরেক দফা ২০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। যার ১টাকাও সরকারী হিসাবে আসেনি! এছাড়াও কেনেলের পাশের গাছ নিজের পছন্দমতো মালিক সহ যাকে তাকে দিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চর ধলহরা কেনেল সংস্কারের প্রয়োজনে এসব গাছ কাটতে হলে সুযোগে পুরোটাই গায়েব করছেন তিনি। এই প্রতিনিধির জিজ্ঞাসার জবাবে শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সব অস্বীকার করে বলেছেন, যার যার গাছ সেই সেই কেটে নিয়েছে, বিক্রি করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুকুলে কোন টাকা জমা হয়নি বা সুযোগ ছিলনা। কিন্তু সরেজমিনে গেলে তার সবটাই মিথ্যা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা বলছে বড়িয়া গ্রামের একটি সমিতির নামে কেনেলের ভেতরের অংশে থাকা গাছ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। যা ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে সরকারী হিসাব ছাড়ায় ।

চরধলহরা গ্রামের রবিউল ইসলাম, ইমদাদুল সহ সেখানে উপস্থিত অনেকেই বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার নির্দেশে গাছ বিক্রি হয়েছে। তিনিই সে গাছের টাকা ভাগ করেছেন। স্থানীয়রা আরো জানিয়েছে, তাদের এলাকার একটি পুরাতন সমিতির অনুকুলে ৩/৪টি বাবলা গাছ ছিল তা এলাকার দুটি মসজিদের জন্য দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত এক সপ্তাহ ধরে চরধলহরা গ্রামের কেনেলের গাছগুলি কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। এদিকে সরকারী গাছ কিভাবে গোপনে বিক্রি করা হলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তারা তদন্ত দাবি তুলেছে।