ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল লেখক সমিতির নামে গলাকাটা ফি আদয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। মিস কেস ১৮/১৭ নং মামলার আদেশে বলা হয়েছে, জনৈক আমিন মন্ডল শৈলকুপা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে নিবন্ধনহীন দলিল লেখক সমিতির নামে অবৈধ কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহ কে তদন্ত করে আগামী ৩০ আগষ্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির মোঃ সোহেল রানা সত্যতা নিশ্চত করে জানান, আদালতের আদেশের কপি ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ পিবিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আদালতের এই নির্দেশ জারীর পর সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্ট্রার আব্দুল মালেক শৈলকুপা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস পরিদর্শনে গেছেন। উল্লেখ্য এর আগেও একবার ঝিনাইাদহ ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত শৈলকুপা দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা চেয়ে ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস সে সময় অবৈধ সমিতির নেতাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে শৈলকুপায় কোন সমিতি নেই বলে আদালতে রিপোর্ট দেন। এলাকার সাধারণ কৃষকদের ভাষ্যমতে, শৈলকুপার বিজুলিয়া গ্রামের নান্নু মোল্লা সভাপতি, লক্ষিপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান সাধারণ সম্পাদক ও রয়ড়া গ্রামের মিজানুর রহমান ক্যাশিয়ার সেজে দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। তাদের সাথে শৈলকুপার শিতালী গ্রামের আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খাঁ, বাগুটিয়া গ্রামের আহম্মেদ ও তোফাজ্জেল সহায়তা করেন। এরা সমিতির নামে জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারী নির্ধারিত ফি’র বেশি টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযোগ রয়েছে শৈলকুপা পৌরসভা এলাকায় প্রতি লাখে জমি রেজিষ্ট্রির সরকারী ফি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু সমিতির নামে আদায় করা হয় ১৪ হাজার টাকা। পৌরসভার বাইরে ১০ হাজার টাকা, আদায় করা হয় ১৩ হাজার টাকা। মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক অবৈধ সমিতি গঠন করে এই টাকা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে দলিল খেক আব্দুল মান্নান বলেন, ইতিপর্বে আদালত থেকে আদেশ দেওয়ার পর আমরা আর সমিতি চালায় না। সমিতি এখন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খা অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, সম্পুর্ন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে একটি স্বাথান্বেষি মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে।