শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) : সমম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী কলেজ ছাত্রী জয়শ্রী আত্যহত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে উক্ত কলেজের নিকটবর্তী নওয়াবেঁকী ছফুরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা, এ ঘটনায় ছাত্রীর আত্মীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে। ছাত্রীর পিতা শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল ৭ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ১ নং আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী ছফুরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী (প্রয়াত সাংবাদিক) লুৎফার রহামনের নাতনী। স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে লম্পট আরিফুল ও তার সঙ্গীরা প্রায় সময় তাকে উত্যক্ত করত। গত সোমবার স্কুলের কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক মজিবর রহমানের বাড়ির সামেনে পৌঁছালে পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা লম্পট আরিফুল ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ছাত্রীর গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তার পরিহিত ওড়না কেড়ে নেয় এবং তাকে ঝাপটে ধরে টানা হেঁচড়া করে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী সবজি খেতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ছাত্রীর আত্মচিৎকারে তার নানী সহ অন্যান্য মহিলারা ছুটে এসে ঠেকাতে গেলে লম্পট আরিফুল ও তার সঙ্গীরা তাদেরকে মারপিট করে। আহত স্কুল ছাত্রী বর্তমানে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা আশাশুনি থানার প্রতাপনগর গ্রামের জবেদ আলীর পুত্র শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। পুলিশ ১ নং আসামীকে আটক করেছে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমি কখনও প্রশ্রয় দেব না। আমি যতদিন শ্যামনগর থানায় দায়িত্ব পালন করব ততদিন যেন জয়শ্রীর মতো আর কোন ছাত্রীর মর্মন্তিক মৃত্যু না ঘটে।