শ্যামনগর : শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল (রাজাস্ব) খাতের অর্থ কোটি টাকার লুট পাটের অভিযোগ করেছে ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের তথ্যমতে জানাগেছে গত এক বছরে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের প্রায় অধ্য কোটি টাকা লুটপাট করে নিজের আখের গোছিয়েছে চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন উপজেলা পরিষদের সদস্যগণ জানান সকল কাজ টেন্ডার না দিয়ে আর এফ কিউ করে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন নিজেই এই টাকা উত্তোলন করে এককভাবে আত্মসাত করেছে।
নাম মাত্রা ঠিকাদার নিয়োগ করছে ইউপি চেয়ারম্যাদের অভিযোগে ও উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে দেখা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলনের অফিস ডেকোরেশন বাবদ ৪,৭৫,৮৬৫/- টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিস ডেকোরেশন বাবদ ৪,৭৫,৮৬৫/- টাকা উপজেলা পরিষদের হলরুম ডেকোরেশন বাবদ ৯,৭৩,৫৪১/- টাকা উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশে প্রাচির র্নিমান ৬,৯৫,৭৫০/- টাকা। উপজেলা পরিষদের পুকুরের প্যালালাইডিন বাবদ ৭,১৬,৫২৪/- টাকা উপজেলা পরিষদের ভিতরের ড্রেন সংস্কার ১,১৮,৩২৩/- টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের পুরাতন অফিস মেরামত বাবদ ৯,১৬,৬৭৮/- টাকা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ৩,০০,০০০/-টাকা মোট ৪৬,৭২,৫৪৩/- টাকা এছাড়া উপজেলা কপ্লেক্স ভবনের সরকারি নকশা ভেঙ্গে চেয়ারম্যানের নিজের অফিস বড় করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন সরকারি আইনের পরিপন্থি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদের সদস্য ইউ পি চেয়ারম্যান ও অন্যন্নোরা জানান প্রতি মাসে উপজেলা পরিষদে সভা হয় কিন্তু এই সমস্ত টাকার বিষয় সভায় কোন আলোচনা হয় না। রেজ্যুলেশন ফাকা রেখে তার ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বেআইনিভাবে এই সমস্ত প্রকল্প পাশ করছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তাছাড়া শ্যমনগর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা নিয়মিত হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের টিআর কাবিখাসহ সকল বরাদ্দ নিজের লোকদের দিয়ে অর্থ উত্তোলনের চঞ্চলকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়গুলো জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বলেন অভিযোগ মিথ্য নিয়ম মেনেই টেন্ডার দিয়েই কাজ করানো হয়েছে।