ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : খালেদাজিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলার সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাঠ দখলে নেয় যুবলীগ ও ছাত্র লীগ। তবে কোথাও দেখা যায়নি বিএনপি-জামাতের কোন নেতাকর্মীদের। বৃহষ্পতিবার ভোর থেকেই কয়রা উপজেলার তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয় কয়রা থানা পুলিশ। রায়কে কেন্দ্র করে যেন জননিরাপত্তা বিঘিœত না হয়, সে জন্য কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হককে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। এছাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়রা বাজারে ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান। তারা উপজেলা সদরে সন্ত্রাস ও নাশকতা বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা কোরে বিএনপি-জামাতের যে কোন ধরনের নৈরাজ্য রুখে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে। তবে দিনভর মাঠে ছিলনা কৌশলী জামাত-বিএনপির নেতা কর্মীরা। বিএনপি-জামাতের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারী দলের ও পুলিশের মারমুখী অবস্থানে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে তারা। তাঁরা এখন যথাসম্ভব গ্রেপ্তার ও মামলা এড়িয়ে শক্তি ক্ষয় কম করতে চায়। এদিকে বেলা ১২ টার দিকে যুবলীগ ছাত্র লীগের নেতা কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে কয়রা বাজার প্রদক্ষিন শেষে তিন রাস্তার মোড়ে নাশকতা বিরোধী সভায় সমবেত হয়। যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড়, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার, আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমির আলী গাইন, জেলা পরিষদ সদস্য জহরুল হক বাচ্চু, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাবিব, যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক টিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবিন, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন ইসলাম প্রমুখ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ জানা যায়নি।