সত্যি ভূতের গল্প

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১৭ - ১৩:১১

এই প্রথম বাংলাদেশের পাঠকবন্ধুদের অনুরোধে গল্প লিখতে কলম ধরলেন এ যুগের প্রখ্যাত কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক । কবি – তাঁর বিষয় নির্বাচনে ভীষণ পটু , যে বিষয়টা তিনি নির্বাচন —করেছেন সেটা হোলো ভূত ! এই ভূত শব্দটা এক সময় কবির  ভেতর ও বাহির জুড়ে কল্পনার সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল । যা  বাল্যকাল অর্থাৎ কিশোর বয়সেও কবি বিদ্যুৎ – কে ভাবনার ডানা মেলতে সাহায্য করেছিল ! এই ভাবনা থেকেই তিনি তাঁর  সোনার কলমের মতি – হীরে – জহরৎ – এর মত শব্দগুলোকে বিছিয়ে দিয়েছেন সাদা পৃষ্ঠায় ! জনতার সময় – এর  কবি উপহার হিসেবে দিলেন একটা পরবাস্তব কাহিনী, যেটা ভূতের নামাঙ্কিত অবাস্তব উপমা ! আশা করি আপনাদের কবির এই গল্প ভালো লাগবে ***** সাংবাদিক আদিত্য বসু USA ]

 

সত্যি  ভূতের  গল্প

  ¤ বিদ্যুৎ  ভৌমিক ¤
********************

ঘড়িতে তখন ঠিক সন্ধ্যা ছ’টা হবে – হবে করছে । টেবিলের — উপর কাগজ, ফাইলপত্র, পেপার ওয়েট বিক্ষিপ্ত অবস্থায়  ছড়িয়ে
ছিল । সংবাদ পত্রের অফিস । প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী চন্দন বাবু এই সময় গুনে গুনে সাত – আট্টা ফোন করেন, সেটা নিয়ে —
তার সতীর্থরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস চাপা আলোচনা করে ** । অথচ চন্দন বাবুর কানে ওদের কথাবার্তা পৌঁছায় না । কিছুদিন
আগে পত্রিকার সম্পাদক মিস্টার প্রশান্ত ঘোষ অফিসের পুরোনো চাপরাশি শম্ভুনাথকে দিয়ে চন্দন বাবুকে তাঁর ঘরে ডেকে পাঠান ।
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঝকঝকে – তকতকে প্রশান্ত বাবুর সুসজ্জিত চেম্বার । অফিস কর্মিরা মনে মনে ভেবেই নিয়েছিল চন্দন বাবুর —
কার্যকলাপ তাদের সম্পাদক সাহেবের কানে পৌঁছেছে !  কিছুটা ভয় ও ভাবনা নিয়ে চন্দন বাবু সম্পাদকের চেম্বারে ঢুকলেন । বেশ
গম্ভীর হয়ে বসে ছিলেন মিস্টার ঘোষ । স্যার, আমাকে আপনি কি ডেকে পাঠিয়েছেন ? খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে শ্রীমান চন্দন
বাবুকে বসতে বললেন নিউজ এডিটর মিস্টার প্রশান্ত ঘোষ । তাঁর চোখে – মুখে কোনো বিরক্তির চিহ্ন এক বিন্দুও ছিল না !  অথচ —
চন্দন বাবু শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছেন যেন কি পাপটাই না তিনি করেছেন ! শুনুন মিস্টার চৌধুরী,  আমি মাস খানেকের জন্য একটু বিদেশে যাচ্ছি । কোথায় – – স্যার ? এই একটু আমেরিকায় । বলছিলাম যে, এই এক মাস আপনি আমার এই চেয়ারে বসে আমার পেন্ডিং কাজ গুলো দেখাশোনা করেন , – তাহলে আমি খুব খুশি হতাম আর কি । অবশ্য এর জন্য আমার
যথা সম্ভব কন্টিভিউসন থাকবে আপনার কাজের জন্য, তাছাড়া যে পারিশ্রমিক আপনি পেয়ে থাকেন তার সাথে আরও বেশ  কিছু
টাকাও আপনার স্যালারীর সাথে যোগ হবে ! মিস্টার ঘোষের কথাশুনে চন্দন চৌধুরীর চোখ তো কপালে ওঠে – ওঠে ! বিস্ময়ে তিনি
হতবাক হয়ে যান ! বিশ্বাসই হ’চ্ছে না যে সম্পাদক সাহেব  তাকে এ্যাতো বড়ো কাজের দায়িত্ব দিচ্ছেন ! মিস্টার ঘোষ বললেন তাকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে চাকরিটা না-ও থাকতে পারে ! সম্পাদক – এর কথা শুনে চন্দনবাবুর মনে কিছুটা ভয় সঞ্চার হোলো ! মনে —
মনে চিন্তা করতে লাগলেন চাকরিটা চলে গেলে বৌ – বাচ্চা নিয়ে খাবে কি, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? চেয়ার ছেড়ে জোড় হাত  করে
চন্দন বাবু বললেন, — প্লিজ মরে যাব স্যার ! এতোটা নির্দয় এই অধমের প্রতি হবেন না । মিস্টার প্রশান্ত ঘোষের গম্ভীর মুখটা এক
মূহুর্তে হঠাৎ পাল্টে গেল । ঠোঁটের ফাঁকে এক মিষ্টি হাসি ফুটে ওঠে সেই মূহুর্তের মধ্যে ! সেই দিকে তাকিয়ে বলির পাঁঠার মতো মুখ –
করে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন এই গল্পের নায়ক আমাদের —সকলের প্রিয় চন্দন চৌধুরী ।
কি উঠলেন যে ? না মানে ; স্যার ****  ।কি অত স্যার – স্যার করছেন, আমাকে আপনার বন্ধু ভাবতে  কি ভাবতে ভালো লাগছে না । দেখি, একটু স্থির হয়ে কিছুক্ষণ বসুন আপনি । এতক্ষণ পর আত্মায় পানি পেলেন চন্দন বাবু । চোখে – মুখে এক আকাশ খুশির হাসি ফুটে উঠলো । তৃপ্তির হাসি । দেখুন, মিস্টার চৌধুরী আপনার বাইশ বছরের চাকরি জীবনের ইতিবৃত্ত আমি এনকোয়ারি করে দেখেছি যে ; আপনার মতো একজন এই অফিসে প্রকৃত নিষ্ঠাবান সৎ কর্মির ভীষণ – ভীষণ প্রয়োজন । আমি অন্ততঃ এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি । গত সপ্তাহে আপনার টেবিল টার্নিং – নিয়ে যে রচনাটা আমাদের কাগজে প্রকাশ হয়েছে, সেটা আমি পড়েছি মিস্টার চৌধুরী । আপনার যে মানুষের আত্মার প্রতি অতীন্দ্রিয় জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি । মানুষ মৃত্যুর পর যে ফিরে আসতে পারে তাঁর প্রিয়জনদের ডাকে ; এর বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্বলিত প্রমাণ আপনি ওই রচনায় বর্ণিত করেছেন, এবং এই পত্রিকাকে সমৃদ্ধ-ও করেছেন । আপনাকে আমার পত্রিকার  পক্ষ থেকে বন্ধুত্বের পাহাড় প্রতিম অভিনন্দন রইলো । কনগ্রাচুলেশন  ।কথাটা শেষ হতেই দরজায় ক্যাঁচ করে একটা শব্দ হোলো । ঘরে দুকাপ চা নিয়ে ঢুকলো চাপরাশি শম্ভুনাথ । দুজনেই চায়ের গরম পেয়ালায় চুমুক দিলেন । চায়ের চুমুক দিয়ে প্রশান্ত বাবু চন্দন বাবু – কে বললেন, – আচ্ছা আপনিকি এই ভূত – প্রেত – আত্মা – টাত্মা কিম্বা ঈশ্বর – টিশ্বর সম্পর্কে কন্ফিডেন্ট, আই মিন, — আমি এটা বলতে চাইছি যে, আপনি যে সব লেখা লেখেন সেগুলো কি সত্যি বাস্তব, না আপনার মন গড়া কল্পনা প্রসূত ব্যাপার ? অর্থাৎ প্রলাপ মাত্র ? চন্দন বাবু বললেন, – আমি স্বীকার করছি যে বেশিরভাগ
মানুষের মনে আত্মা সম্পর্কে কোনো রকম ধারনা নেই । তবুও ***তাঁদের মধ্যে একটা আদিকাল থেকে চলে আসা প্রচলিত ভয় এবং ভূত সম্পর্কে এদের আগ্রহ অপরিসীম । কোথাও ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটার মতো প্ররোচনা আছে বলে আমি জানিনা । থাকলেও ওরা শুনবে
কেন । তবে আমি লক্ষ করেছি যে অনেকের মধ্যে ভূত – প্রেত নিয়ে অশ্রদ্ধার পরিমাণটা একটু বেশি । ভক্তি নেই বললেই চলে ! তাঁদের কাছে এসব অপ্রাসঙ্গিক হলেও মনে মনে কিন্তু এরা গভীরে ভয় ও ভীষণ বিষণ্ণতায় ভোগেন ! তাই তাঁরা এই বিষয়টাকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেন না ! আপনি যে এতো সুন্দর করে কথা বলতে পারেন এটা কিন্তু এর – আগে আমার জানা ছিলনা মিস্টার চৌধুরী । সম্পাদকের  কথায় চন্দন বাবুর মুখে বিনয়াশ্রিত হাসির রেখা চিকচিক করে ফুটে ওঠে সেই মূহুর্তে ! জানেন মিস্টার ঘোষ এই অবিশ্বাস্য বস্তুটার পিছনে – দৌড়ে নিজের চোখ আর মনকে বিশ্বাস করতে পারিনি, অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর এক অস্থিরতায় ভুগছিলাম । তাহলে বলুন চন্দন বাবু, ওই যে, — আপনি ভূত দেখেছেন ? শুধু দেখিনি ; কথাও বলেছি । এই বাস্তব গল্প যদি আপনার শোনার সময় থাকে তাহলে শোনাতে চাই আমার সেই অভিজ্ঞতার কথা । পত্রিকার সম্পাদক সম্মতি দিয়ে বসলেন চন্দন বাবুকে ****
সেদিন সন্ধ্যায় অন্ধকার ঘন হবার আগেই আমি আমার ডাক্তার বন্ধুর ডিসপেন্সারী পৌঁছে গেলাম । তখনও বন্ধুটি এসে পৌঁছায়নি
তাঁর চেম্বারে । শীতের সন্ধ্যা । আমার হঠাৎ উপস্থিত দেখে বন্ধুর চেম্বারের কম্পাউন্ডার মধু ভীষণ অবাক হয়ে গেল ! আপনি, দাদা
বসুন, এ-এই খানে বসুন চন্দন দাদাবাবু । গৌতম দাদাবাবু  এই —এলো বলে । আমাকে চেম্বারে বসিয়ে রেখে মধু কোথায় চলে গেল,
সেটা অনুমান করতে পারলাম না ! যথারীতি একা ওই চেম্বারে বসে মশার কামড় খাচ্ছিলাম ! অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার  সেই
ডাক্তার বন্ধুটি আসবে ! অধীর প্রতীক্ষা নিয়ে বসে বসে সময় পার করছিলাম ! আমার বন্ধুটি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার । জানেন মিস্টার ঘোষ ; গৌতমের ডিসপেন্সারীতে একা একা বসে থাকতে ভালো মোটেই লাগছিল না আমার । যে জায়গায় গৌতমের চেম্বার ওই
জায়গা দিয়ে সন্ধ্যার পর গোনাগুনতি মানুষ চলাচল করে ।  মাঝে মাঝে রিক্সার ভেঁপু শুনতে পাওয়া যায় । চেম্বারটা গলির ভেতরেই । এ গলিতে ঢোকার মুখেই একটা চায়ের দোকান, অনেক রাত করে ওই দোকান খোলাই থাকে । অল্প বয়সী ছেলেরা সেই দোকানের
ভেতর বসে চা খায় ও আড্ডা দেয় প্রতিদিন । কম্পাউন্ডার মধু —চলে যাবার পর রীতিমতন গৌতমের চেম্বারে ঠুটো জগন্নাথ  হয়ে
বসে বসে ভীষণ অস্বস্তি লাগছিল ! এদিকে নাটক যে অন্য দিকে মুখ ঘোরাবে সেটা কে-বা জানতো ! তাহলে কি মরতে ওখানে ওই
জায়গায় আসি ! শীতের দিনে বিকেল ফুরিয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না, মাত্র আধঘন্টার মধ্যে অন্ধকার । যাকে কাক ঝুপসি সন্ধ্যা বলাই বাহুল্য । বড় সড় গাছের ছায়া ঢাকা মফঃস্বলের চাপা রাস্তায় দিন শেষ না হতে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে ! গৌতমের চেম্বারে দক্ষিণমুখী জানলার পাল্লাটা হাট করে খোলা ছিল । সেই  খোলা জানলা দিয়ে দেখতে পেলাম বাইরের অন্ধকার নেমে আসছে —
মুখোমুখি একটা বাড়ির ওপর, ছাদের পাঁচিলে বিরাট একটা মস্ত রকম ফাটল । তার গা চিড়ে বিশাল অশ্বত্থ গাছের শেকড় নেমেছে । মনে হচ্ছিল এই বুঝি ভেঙে পড়বে, গা ছমছম করতে লাগলো ! এ কোথায় এসে পড়লাম আমি ! নাকে ভেসে এল একটা অশুভ
গন্ধ !  পত্রিকার সম্পাদক মিস্টার প্রশান্ত ঘোষ চন্দন বাবুর কথা এক মনে শুনতে লাগলেন । এরপর কি হোলো চন্দন বাবু ? মিস্টার ঘোষের চোখে মুখে বিস্ময়ের ছাপ ফুটে উঠলো ! খোলা – – জানলা দিয়ে যতদূর চোখ যায়, শুধু অন্ধকার । আকাশে সরু এক
ফালি চাঁদ থাকলেও তাতে সামান্য আলো তো নেই – ই, উল্টে যেন অন্ধকার আরও বেড়ে গেছে ! কখন যে আমার বন্ধু গৌতম চলে
আসবে কে জানে, মনে মনে গৌতমের প্রতীক্ষায় প্রচন্ড ছটফট করছিলাম ! গৌতমের কান্ড কারখানাই বরাবর একই রকম, ও —
আমাকে কথা দিয়ে নিজেই বেপাত্তা হয়ে আছে ! বড্ড রাগ হচ্ছিল গৌতমের ওপর । আবার এইভাবে একা একা ঘরে বসে থাকতে – ও ভীষণ বিরক্তিকর মনে হচ্ছিল ! মনে মনে ভাবছিলাম, গৌতম আমার ভালোমানুষির পুরো সুযোগ নিচ্ছে না তো ? আমার এই যে
অতিরিক্ত বিনয়ী ভাব এবং চিরকালের বাউন্ডুবেপনা, এসব – তো কারও অজানা নয়, তাই হয়তো সুযোগ নিয়েছে ষোলয়ানা । আমার ওর এখানে আসার ব্যাপারটায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি । যদি দিতো তাহলে এতক্ষণে চলে আসতো । এই সব সাত – পাঁচ চিন্তা
করতে করতে হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে গেল ! ঘরময় তখন অন্ধকারও আঁধার কালো বিষন্নতা ছেয়ে ছিল । ওই ঘরে আমি ছাড়া অন্য কেউ ছিল না ! কেবল আমার নিশ্বাস প্রশ্বাসই আমার সঙ্গী । কম্পাউন্ডার মধু এই আসছি বলে কোথায় বেপাত্তা হয়েছিল, কে
জানে ! কোনো হ্যারিকেন বা মোমবাতির ব্যবস্থা সেখানে ছিলনা ! হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হতেই অন্ধকারে সাবধানে পা —
ফেলে দরজাটা খুলে দিতেই দেখি, সেই মূর্তিমান ডাক্তার বন্ধুটি আমার সামনে দাঁড়িয়ে ফিকফিক করে হাসছে ! কি রে চন্দন , —তুই কতক্ষণ ? আমি গৌতমের কথায় কোনো সারাশব্দ দিলাম না ! ভীষণ রাগ হচ্ছিল ওর উপর । গৌতম সেটা বুঝতে পেরে বললো ; তোর রাগ করাটা স্বাভাবিক, তবে আমার কথা যদি শুনিস তাহলে  বুঝতে পারবি কেন আমার এতো দেরি হোলো ! রেল লাইন ক্রস করে তারাতারি ফিরছিলাম, হঠাৎ একটু অন্য মনষ্ক হয়ে পরেছিলাম ! সেই অন্যমনস্কতার কারণে একটা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আমি ছিটকে পড়লাম অনেকটা দূরে, আর কি ! সব শেষ ! গৌতমের মুখে ওই কথা শুনে বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমার ! কি যা-তা কথা
বলছিস গৌতম ? হে – রে চন্দন, আমি ঠিকই বলছি , পারলে এই বন্ধুকে একটু উপকার করবি ? চন্দন চুপ করে রইল , শুধু মুখে
উচ্চারিত হোলো, – হু *** গৌতম বলল, আমার গ্রামের বাড়িতে আমার বাবা – মাকে খবরটা পাঠিয়ে দিবি ভাই ! খুব উপকার হয়
তাহলে ******পত্রিকার সম্পাদক মিস্টার প্রশান্ত ঘোষ চন্দন বাবুর গল্প শুনে অবাক বিস্ময়ে সিগারেটের প্যাকেট খুলে একটা সিগারেট ধরিয়ে বললেন চলুন দেখি, অনেক রাত হয়েছে । কাল সকালে ফ্লাইট মিস করলে আমেরিকা যাওয়া ভেস্তে যাবে ! চন্দন বাবু মিস্টার ঘোষের কথায় মৃদু হেসে উঠলেন   !!