ঢাকা অফিস : সরকার দেশের সর্বত্র একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছে। জনগণের ওপর সেটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার মুখে বলে একটা, করে আরেকটা। দেশের সার্বিক অবস্থা বদলে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশকে অশান্ত অবস্থায় নিয়ে গেছে ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির চলমান সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, কেবল আমরা নই, দেশের আপামর জনগণ বলছে- অনেক হয়েছে, এবার আপনারা বিদায় নিন। জনগণের রক্ত শোষণ করে অনেক খেয়েছেন, এবার পদত্যাগ করুন। পদত্যাগের পর সংসদকে বিলুপ্ত করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। তারা নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সেই নির্বাচনে মানুষ স্বাধীনভাবে, তার পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাধীনচেতা, বেশি দেশপ্রেমিক। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আজকে আবার সরকার হটানোর জন্য সামগ্রিক লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই একা বিএনপি বা বিরোধী দলের নয়, এটা জনগণের লড়াই। ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টু। অপরদিকে, বৈঠকে ১২ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান কারি মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।