সরবরাহ কম হওয়ায় মিলছে না ফুলতলায় টিসিবির পণ্য

প্রকাশঃ ২০২১-০৭-১০ - ০৮:২৬

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফুলতলা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজনমত ট্রেডিং করপোরেশন অপ বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে পারছে না। এলাকার নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের মানুষ ন্যায্য মূল্যে টিসিবির নিত্য পণ্য কিনতে ভিড় করছেন। অনেক জায়গায় দুপুরের মধ্যে পণ্য শেষ হয়ে যাচ্ছে। পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরেও যাচ্ছেন অনেকে। লকডাউনের সময় টিসিবির পণ্যের আরও চাহিদা বেড়েছে। সামনে ঈদুল আজহা। এই পরিস্থিতিতে টিসিবি পণ্যের সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন এলাকার ক্রেতারা। টিসিবির একটি সূত্র মতে, গত ১লা এপ্রিল থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। লকডাউনের কারণে মাঝে কিছুদিন পণ্য বিক্রয় বন্ধ থাকে। বর্তমানে আবার শুরু হয়েছে।

ফুলতলা উপজেলায় টিসিবির দু’জন ডিলারের মাধ্যমে ফুলতলা বাজার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জামিরা বাজার, যুগ্নিপাশা, গাড়াখোলা, দামোদর কারিকরপাড়া, হাজামভিটা মাঠ, পথের বাজার, বেজেরডাঙ্গার বিভিন্ন পয়েন্টে ২টি ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে ডাল ও চিনি কিনতে পারেন। এতে একজন ক্রেতার খরচ পড়ে ৭শ’ ২০ টাকা। বাজারে এই পরিমান পণ্য কিনতে অন্ততঃ ১ হাজার টাকা খরচ হয়। টিসিবির প্রতি কেজি ডাল ও চিনি ৫৫ টাকা, প্রতি লিটার তেলের দাম নেয়া হয় ১শ’ টাকা নেয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসু ট্রেডার্সের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ কুমার বসু টিসিবি পণ্যের তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করছেন। খোলা বাজারে ট্রাকে করে বিক্রি করা এসব খাদ্য পণ্য স্বল্প মূল্যে পেতে শত শত নারী—পুরুষ ভিড় করছেন। সকালে পণ্যের ট্রাক আসার আগে থেকেই ক্রেতারা লম্বা লাইনের মাধ্যমে ভিড় করছেন। ট্রাক আসার সাথে সাথেই সাইকেলের টায়ার দিয়ে সামাজিক দুরত্ব তৈরী করা হয়। ক্রেতারাও তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য ক্রয় করে। এসময় লাইনে দাড়ানো ৬০ উর্ধ্ব কুলসুম বিবির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই নিত্যপণ্যের দাম বেশি। প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে। তাই এখানে পণ্য কিনতে লাইনে দাড়িয়েছি। এ রকম আরও অনেকেই একই কথা বলেন। পাশে দাড়িয়ে থাকা সাজ্জাদ মোল্যা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। এখানে কিছু কমে কিনবো তাই এসেছি। তবে বিক্রির স্থান ও পণ্যের পরিমান না বাড়ালে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট কমবে না।
এ ব্যাপারে টিসিবির ডিলার বীরমুক্তিযোদ্ধা সুবোধ কুমার বসু জানান, ২০২০ সালের মার্চ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছি। লকডাউনে মটর শ্রমিক ও দিনমজুররা কর্মহীন হয়ে পড়ায় টিসিবি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। পণ্যের পরিমান বাড়িয়ে দিলে সরবরাহ সহজ হবে । অপরদিকে মেসার্স আলী ট্রেডার্সের মালিক মোঃ আলী ইমদাদ শেখ জানান, টিসিবির ট্রাক পয়েন্টে পৌছে বিক্রি শুরু করলে ৩ ঘন্টার মধ্যেই পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এরপরও লাইনে মানুষ থাকেন। পণ্যের বরাদ্দ বাড়ালেই ক্রেতারা স্বল্পমূল্যে ক্রয়ের সুযোগ পেত।