সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশঃ ২০২৪-০৭-০১ - ১৩:৪২

ইউনিক ডেস্ক : বৈষম্যমূলক পে-স্কেল ও পেনশন স্কেল বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৩৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই কর্মবিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এই ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।

একই দিন রাজশাহী ও জগন্নাথসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মবিরতি পালন করে। এ সময় বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর ‘প্রত্যয় স্কিম’ থেকে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন ও সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

গতকাল (রোববার) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন।

জানা গেছে, নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শুরুর দিন আজ চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশনের কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে আজ ১ জুলাই থেকে যারা যোগ দেবেন, তাদের জন্য এ কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে। তবে সিদ্ধান্তটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করে আসছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।