ফারুক হোসেন, পাবনা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে অবৈধ ভাবে জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ ব্যবসায়ীর। শালিসী বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় আদালতে মামলা। ১৪৪ ধারা জারি। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা।
জানা যায়, উপজেলার কাশিনাথপুর মৌজার যাত্রী ছাউনীর উত্তর ও সিকদারের বাড়ির পশ্চিম পাশে নগরবাড়ি-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন ১০ শতক জমির ক্রয় সূত্রে মালিক কাশিনাথপুরের ফাকের খান। যার আর/এস দাগ নং ১৮৯০। আর/এস খতিয়ান নং ২৯৮। ফাকের খান ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছে। ক্রয়কৃত জমিটি পরবর্তীতে নিজ নামে রেকর্ড হয়। ফাকের খান মৃত্যু বরণের পর তার ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে ওয়ারিশ প্রাপ্ত হন। ওয়ারিশ গণের স্ব স্ব নামে তা খারিজ করে নেওয়া হয়।
মালিক ফাকের খান মারা যাবার সুযোগে এ জমির উপর চোখ পড়ে দখলদার বেড়া উপজেলার টাংবাড়ি গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী মিয়ার ছেলের আঃ রাজ্জাক মিয়া ও তার ছোট ভাই সেলিম মিয়ার। গত ১৭ মার্চ দখলদাররা সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে জোড় পূর্বক উক্ত জমির উপর বহুতল ভবনের নির্মান কাজ শুরু করে। ফাকের খানের ছেলে শফিকুল আলম খান কাশিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিচার প্রার্থী হলে দখলদারা শালিসী বৈঠক অমান্য করে পাকা ভবন নির্মান অব্যাহত রাখে। শফিকুল আলম খান পাবনা আদালতে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ২২ মার্চ আদালত নির্মান কাজের উপর ১৪৪ ধারা জারি করে।
এদিকে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চলতে বলেন। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উভয়কে বিরোধপূর্ণ স্থানে নির্মান কাজের নিষেধ প্রদান করেন।
অপর দিকে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ক্রয় সূত্রে অর্ধেক জমির মালিক আমরা। অভিযোগকারীর বাবার নামে জমি রেকর্ড হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি।
কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আশরাফুল আলম জানান, শান্তি ও শৃংখলা রক্ষার জন্য উভয় পক্ষকে সর্তক করা হয়েছে