সাতক্ষীরায় অস্ত্রসহ তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-০৬ - ১৭:২৫

সাতক্ষীরা :  সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের লোক বলে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদে দাবি করায় তিন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর রাজারবাগান এলাকার সাইফুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত তিন চাঁদাবাজ হলো, সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিম শেখ এর ছেলে রিজাউল ইসলাম ওরফে খোকন (৪৫), মৃত কসিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০) ও মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৬)।

ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল অহিদ সরদার (৫২) জানান, তিনি গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়ার মৃত শেখ মমিন উদ্দীনের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠার পর আসামিরা তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামীরা ৫ অক্টোবর বেলা ১০টার দিকে আমার ভাড়া বাসায় এসে আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে ধরে আসামী সাইফুল ইসলামের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র, পিস্তল, চাকু প্রদর্শন করে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আমার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি এবং কাছে থাকা দুই হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা হিসেবে ছিনিয়ে নেয়। অবশিষ্ট টাকা সন্ধ্যার মধ্যে দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেয়।

এঘটনার পর আমি নিরূপায় হয়ে সাতক্ষীরা আর্মি ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দেই। আসামীরা রাত ৮ টার দিকে বাকী চার লক্ষ আটানব্বই হাজার টাকার জন্য আমার মোবাইলে রিং করে সাইফুলের দোকানের সামনে যেতে বলে। তখন আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাইফুলের দোকানের সামনে গেলে তারা পুনরায় আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। এসময় রাত পৌনে ৯ টার দিকে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সদস্যরা সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে আসলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে উল্লেখিত আসামি তিন জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামী দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ৩,৮৯০ টাকা, কালো রংয়ের কারেন্টের তার দ্বারা পেচানো কাঠের বাটযুক্ত ফায়ারিং পিন সংযুক্ত একটি ওয়ান শুটারগান জব্দ করা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা আমার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার বিষয়টি স্বীকার করে।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।