মোঃ কামাল উদ্দীন সরদার, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ধুমঘাটে আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি জবর দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হামলায় নরেন্দ্র মুন্ডাকে হত্যা, তিন নারীসহ একাধিক ব্যক্তিকে আহত, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে রবিবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানব বন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী মরিয়ম মান্নান, জোছনা দত্ত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আদিবাসি মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি প্রজাস্বত্ব আইনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর যোগ্য নয়। অথচ শ্যামনগরের শ্রীফলকাটি গ্রামের রাশেদুল ও এবাদুল ধুমঘাটের মুল্লুক চাদ মুন্ডার আট বিঘা জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে শুক্রবার সকালে তা জবরদখলের চেষ্টা করে। সেখানে বসবাসরত ২২টি মুন্ডা সম্প্রদায়ের মানুষজনকে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধানের বীজতলা পাওয়ার টিলার দিয়ে চষে তা নষ্ট করে দেওয়া হয়। বাধা দেওয়ায় নরেন্দ্র মুন্ডাসহ তন নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় তাদের বাড়ি ঘর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরেন্দ্র মুন্ডা মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বক্তারা আরো বলেন, এ হামলার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলী ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেনসহ বংশীপুরের অনেকেই জড়িত। বক্তারা এ সময় অবিলম্বে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।