সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে চেতনা নাশক স্প্র্রে করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের কাজীপাড়ায় পুলিশ সদস্য মাসুদ কাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় গ্রামবাসী এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করেছে। আটক যুবকের নাম মো: আবদুল কাদের (৩৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের আবু বাক্কার সিদ্দিকের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী আবু সুলতান ওরফে তুষার জানান, সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের নেবাখালী গ্রামের মৃত কাজী আলাউদ্দিনের ছেলে কাজী মাসুদ ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তার একমাত্র ছেলে কাজী ফাহিমও পুলিশে চাকরি করেন। মাসুদের স্ত্রী রানী একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (১৩) কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে ৪/৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত সেহেরীর সময় শুক্রবার ভোর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে পুলিশ সদস্য মাসুদ কাজীর ঘরের জানালা দিয়ে চেতনা নাশক স্প্রে করে। এ সময় ঘরে থাকা মা ও মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা জানলা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাদের দু’জনের হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে রেখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে মাসুদের স্ত্রী রানী আধা অচেতন অবস্থায় মোবাইলে ঘটনা মাসুদকে জানায়। পরে মাসুদ বিষয়টি আমাকে জানালে আমি দ্রুত লোকজন নিয়ে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে নেবাখালী বিল থেকে আবদুল কাদেরকে আটক করি। এসময় বাকিরা পালিয়ে যায়। সকালে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপার্দ করা হয়। অসুস্থ রানী ও সুমাইয়ার বাড়িতে চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা এখন অনেকটা ভাল।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আবদুল কাদের নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবদ চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।