সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নব-নির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পোষ্ট অফিসের সামনে সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এবং নব-নির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, ‘আমি এই ভবনের জায়গা পেতে সর্বত্তক প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এই কাজে সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন। আজ এই ভবনটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাড়তি কিছু আয়সহ মনোরম পরিবেশে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্ন সভা-সেমিনার এবং অফিসিয়াল কাজ করতে পারবেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের বর্তমানে তিনতলা নির্মাণ করা হয়েছে। তিনতলা ভবনটির নিচ তলায় থাকবে দোকান। দ্বিতীয় তলায় হবে কমিউনিটি হল এবং তৃতীয় তলায় হবে মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস। দোকানঘর ও কমিউনিটি হল ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে বাড়তি আয় হবে যা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান ও মূল্যায়ন করছেন।জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাদের আতœত্যাগের কথা আমরা কখনোই ভুলতে পারবনা।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মশু প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক বিশ^াস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক। সকল জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ (১ম পর্যায়-২য় সংশোধনী) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ ২ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে এ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন খান লিপি, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসানুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএম রাজ্জাক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসনে জাহিদ জজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদসহ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, ভবনের দোকান ভাড়া আর কমিউনিটি সেন্টারের ভাড়ার টাকা নাকি আমাদের কল্যাণে ব্যয় হবে যা শুনে খুবই আনন্দিত আমরা।