তালা : সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ৪০০জন বন্দির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে বন্দি রয়েছে মাত্র ২৩৬জন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনের সময় জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৮৭জন বন্দির মধ্যে গ্রেফতার হয়ে ফেরত এসেছেন ২৫জন। পলাতক রয়েছেন ৬২জন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে গত ২অক্টোবরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঐদিন বন্দি ছিল মোট ২৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২২২ এবং মহিলা ১৪জন। যদিও জেলা কারাগারের অনুমোদিত ধারণ ক্ষমতা ৪০০ জনের। যার মধ্যে পুরুষ ৩৬০ এবং মহিলা ৪০জন থাকার কথা। বর্তমানে ২৩৬জন বন্দির মধ্যে পিতা-মাতার সাথে পুরুষ শিশু রয়েছে ৩জন এবং কন্যা শিশু রয়েছে ১জন । মৃত্যুদ- প্রাপ্ত পুরুষ বন্দি আছেন ২ জন। বিদেশি বন্দি আছেন ৩জন। এরমধ্যে ভারতীয় ২জন এবং আরপি ভারতীয় ১জন। বর্তমানে মায়ানমারের কোন বন্দি না থাকলেও ইতিপূর্বে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা আটক ছিলেন। এছাড়া যুদ্ধাপরাধি কোন বন্দি কারাগারটিতে না থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামি আছেন ৩জন। সূত্রটি আরও জানায়, বর্তমানে ডিভিশন প্রাপ্ত হাজতি না থাকলেও পুরুষ হাজতি রয়েছেন ১৫৮জন এবং মহিলা হাজতি রয়েছেন ১০জন।বিনাশ্রম কয়েদি রয়েছেন পুরুষ ২৫জন এবং মহিলা ৩জন। সশ্রম কয়েদি রয়েছেন পুরুষ ৩৬জন এবং মহিলা ১জন।
অপরদিকে কারাগারের অভ্যন্তরে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা মোট ২০টি, কক্ষ সংখ্যা ৫টি, সহকারি সার্জনের পদ রয়েছে ১টি, ডিপ্লোমা নার্সের পদ রয়েছে ১টি এবং ফার্মাসিস্টের পদ রয়েছে আরও ১টি। এছাড়া কারাহাসপাতালে ভর্তি বন্দি রোগী রয়েছেন ২জন। বাহিরের হাসপাতালে বন্দি রোগী রয়েছেন ১জন।
সূত্রটি জানায়, কারাগারে থাকা অসহায় দরিদ্র বন্দির মধ্যে গত জানুয়ারি হতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৫জন বন্দির আইনি সহায়তার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করা হয়। এরমধ্যে ২৯জন অসহায় বন্দির জন্য প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা কারাগারে গত ৮ সেপ্টেম্বর যোগদানকারী জেল সুপার এনায়েত উল্ল্যাহ উল্লেখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে ১জন জেলারের পদ শুন্য রয়েছে, যেখানে ডেপুটি জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করছেন। এছাড়া খালি আছে ৭জন কারারক্ষীর পদও। তিনি জেলা কারাগারটির সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে আরও জানান, শুন্য পথগুলো দ্রুত পূরণ করা হলে সকল কাজে আরও গতি ফিরে আসবে।