সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় গত দুই দিনের অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল, চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মাছের ঘের ও পুকুর। জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে অনেক এলাকায় পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতে মারাতœক দুর্ভোগে পড়েছে। বহু স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার মাঠে পানি জমে শ্রেনি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে শুধু জনজীবনে প্রভাব পড়ছে না সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ইতিমধ্যে শহরের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। গরীব অসহায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা বৃষ্টিতে বের হতে না পেরে অলস সময় কাটাচ্ছেন। ব্যবসা বাণিজ্যেও মন্দাভাব। ক্রেতাশূণ্য হয়ে পড়েছে বিপনি বিতান গুলো। চরম দুর্ভোগের শিকার সাধারণ দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে-বৃষ্টিপাত ও ঝড় হাওয়া অব্যাহত আছে। রবিবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। একাকার হয়ে গেছে সবকিছু। বাড়ি-ঘরেও পানি উঠে গেছে। অপরদিকে, বৃষ্টিতে তালা,শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। এ সব অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অপকিল্পিত বেড়িবাধ দিয়ে মৎস্য ঘের তৈরী করে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করায় এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘের মালিকরা পানি নিস্কাশনের কোন পথ রাখেননি। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই এসব এলাকার বাড়ি, ঘর ও রাস্তায় পানি উঠছে। তাই মাছের ঘের কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরী। আর তা না হলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্থায়ী ভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, প্রবল বর্ষনের কারণে তালা উপজেলা প্রায় ১৫-২০ হেক্টর জমির আমন ধান পানির নিচে রয়েছে ও কলারোয়ায় উপজেলা প্রায় ৩০-৩৫ হেক্টর জমির আমন ধান পানির নিচে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। টানা বর্ষনে প্রায় ২-৩ ফুট পানিতে ফসলি জমির তে ডুবে থাকায় ফসলি জমির আমন েেতর পাকা ধান পানির নিচে।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী জানান, প্রবল বর্ষণের আমন ধানের তে কিছুটা তিগ্রস্থ হয়েছে। একই অবস্থা আশাশুনি কয়েকটি ইউনিয়ন। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও আশাশুনি ও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর কয়েকটি স্থানে ভেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।