নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনাভাইরাসের টিকা সাধারণ মানুষ পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে কি না, এ ব্যাপারে আমরা একদম নিশ্চিত নই। তবে ধনীরা টিকা পাবে, তা নিশ্চিত।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার করে বলেছিলাম, টিকা নিয়ে একটা পরিকল্পনা দেওয়া হোক, একটা রোডম্যাপ (পথনকশা) দেওয়া হোক। তার কোনোটাই দেওয়া হয়নি।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা আমদানিকারক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে সরকার বেশি মুনাফার সুযোগ দিচ্ছে।
জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয়ভাবে তিনটি কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এর একটি ছিল নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের দিনব্যাপী বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি। এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এখন তারা টিকা নিয়ে লুটপাট করছে। জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। তাই তারা টিকা নিয়েও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।’
জিয়াউর রহমানকে একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। পঁচাত্তরের পর তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় জিয়াউর রহমানকে সফল রাষ্ট্রনায়ক বলে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যত দিন টিকে থাকবে, বিএনপিও তত দিন টিকে থাকবে। একই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, জিয়াউর রহমান উন্নয়নের রাজনীতির সঙ্গে জনগণের রাজনীতি সৃষ্টি করেছিলেন।
ভার্চ্যুয়াল এ সভায় মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।